বিজ্ঞাপন

পিপি ও আইওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট

April 25, 2019 | 4:59 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকারের অনুমোদন ছাড়া সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলায় অভিযোগ পত্র দাখিল করার অভিযোগে মামলার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারি পুলিশ সুপার আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ বিভাগ এবং বিচারিক আদালতের পিপি জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট এ মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে রুবেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রফিকুল ইসলাম ওরফে রুবেলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নিজেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

বিজ্ঞাপন

পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৪০ (২) ধারা অনুযায়ী কারো বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। কিন্তু এ মামলায় অনুমতি ছাড়াই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এলে আদালত তখন এ আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ওই মামলার তদন্তের সময় একইবছরের ২৪ আগস্ট রফিকুল ইসলাম (২২)-কে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর রফিকুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে মামলাটি বগুড়ার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল–৪–এ বদলি করা হয়। মামলাটি এখন সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

এ মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ আদেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/ইউজে/পিএ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন