বিজ্ঞাপন

কোনো দল ভাঙা আমার নীতি না: প্রধানমন্ত্রী

April 26, 2019 | 6:17 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘কোনো দল ভাঙা, আমার নীতি না। প্রস্তাব আমরা অনেক পাই, কিন্তু ওসবের মধ্যে যাব না। যার যার দল, সে সেই করুক। আওয়ামী লীগের যথেষ্ট লোকবল আছে। আমার নতুন লোকবলের দরকার নেই। আওয়ামী লীগ একাই একশো।’ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে ব্রুনেই সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেন সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আছি। এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশটাই যেন বজায় থাকে। তার জন্য আমার মনে হয় গণমাধ্যমেরও অনেক দায়িত্ব আছে। আপনারা সেই দায়িত্বটা যথাযথ পালন করবেন, সেটাই আমরা চাই। দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে সেটা আপনারা নিজেরাই উপলব্ধি করতে পারেন, দেখতে পারেন। তবে মনে রাখবেন বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হলো, দেশ যখন খুব ভালো অবস্থায় যায়, তখনি কিন্তু আঘাতটা আসে। জাতির পিতাকে যখন হত্যা করা হলো, তখন কিন্তু তিনি যুদ্ধবিধস্ত দেশ গড়ে মাত্র তিন বছরের মধ্যে ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিলেন। আর আমরা এখন আটের ঘরে পৌঁছে গেছি।’

আমরা আশাবাদী এই বছরে ৮.১৩ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলে তো আর এটা নিতে পারবে না, ষড়যন্ত্র তখন হবে। আর রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রত্যেকটি দলের স্বকীয়তা আছে, স্বাধীনতা আছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। দেশের জনগণের কল্যাণ করার জন্য আওয়ামী লীগই যথেষ্ট। আওয়ামী লীগই করবে। আর কেউ করে নাই, করবেও না। এটাও আমার মনে হয় দেশবাসীর ভাবা উচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত কিন্তু এ দেশের উন্নতি হয়নি। কোনো মানুষের উন্নতি হয়নি।’

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আগে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কি হতো প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে তো প্রতিনিয়ত গোলাগুলি আর বোমার আওয়াজ পাওয়া যেত। আমারা সেটাও বন্ধ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইটার পরে কোনো ক্লাসই হতো না। এখন তো সন্ধ্যাতেও ক্লাশ হয়। আমরা পড়াশোনার ওপরে গুরুত্ব দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

সরকারের এই মেয়াদের একশো দিন নিয়ে সিপিডির বক্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একশো দিনে উল্লাস নাই, উচ্ছ্বাস নাই, হেন নাই, তেন নাই অনেকে বলে। আসলে যারা সবসময় নিরানন্দে ভোগে তারা তো উচ্ছ্বাস-উল্লাস দেখবেই না। আর এখানে উচ্ছ্বাস-উল্লাসের কি আছে আমি বুঝলাম না? আমি ১০০দিন টার্গেট করে কিছু বলিনি। কিন্তু তারপরও প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগ এনেছি। গ্রাম বাংলায় একটা কথা আছে, ‘গেল গেল আমার মুরগি গেল, আমি শিয়ালটা তো চিনে রাখলাম’। যাই হোক, এটা আবার অন্যভাবে লিখেন না। গ্রাম্য প্রবাদ সেই হিসাবে বললাম। চিনি আমি সবাইকে। আমার অচেনা কেউ না। সব থেকে প্রবীণ কিন্তু এখানে আমি, এইটুকু মনে রাখেন।’

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

সারাবাংলা/এনআর/এমও

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন