বিজ্ঞাপন

ফনা তুলে বাংলাদেশের দিকে ছুটছে ঘূর্ণিঝড় ফণী

April 29, 2019 | 2:46 am

তুহিন সাইফুল ,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সাপের ফনার মতো দেখতে। তাই ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে ফণী। কেবল দেখতেই নয়, সাপের মতো এর আচরণও! রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল বরাবর এগোলেও মধ্যরাতে এসে দিক পরিবর্তন করে এটি ছুটেছে বাংলাদেশের দিকে।

বিজ্ঞাপন

আবহাওয়াবিদ রুহুল আমিন মল্লিক সারাবাংলাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত ভারতের উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ঘূর্ণিঝড়টি। এখন সে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে মুখ ঘুরিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এটি উপকূলে আঘাত হানবে।

আরও পড়ুন- ফণী আসছে, বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত

আবহাওয়া অফিস জানায়, ফণীর প্রভাবে এখন সাগর উত্তাল রয়েছে। উপকূলে আঘাত হানা পর্যন্ত উত্তাল সাগর আরও উত্তাল হবে। এ সময় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ ভারতে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বিজ্ঞাপন

রুহুল আমিন মল্লিক জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ থেকে এখনো ১৪শ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৮ থেকে ১১৬ কিলোমিটার। তবে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে এই গতিবেগ আরও বাড়বে।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, পায়রা, মোংলা ও কক্সবাজার উপকূলকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানোর পাশাপাশি সাগরে অবস্থানরত সকল নৌযানকে নিরাপদ অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকলেও দেশে রোদের প্রভাবও বেড়েছে অনেক। তীব্র দাবদাহে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপন্ন। রোববার এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সোমবারও একই রকম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে দেশের তাপমাত্রা।

বিজ্ঞাপন

তীব্র গরমের মধ্যেও সিলেট, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় রোববার সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। রোববার বিকেল থেকে রাতের মধ্যে রংপুরের কয়েকটি জেলাতেও বৃষ্টি হয়েছে। সোমবারও বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সোমবার শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে এই বিচ্ছিন্ন বৃষ্টিপাত তাপমাত্রায় বড়ো কোনো পরিবর্তন আনবে না। বরং উষ্ণতা ক্রমশ বাড়তে থাকবে। আবহাওয়াবিদ রুহুল আমিন মল্লিক বলেছেন, তাপমাত্রা পুরোপুরি শীতল হতে সবাইকে ফণীর অপেক্ষায় থাকতে হবে। কারণ তখনই কেবল গোটা দেশে একযোগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

সারাবাংলা/টিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন