বিজ্ঞাপন

আগামী বাজেটের আকার বাড়ছে: অর্থমন্ত্রী

May 1, 2019 | 2:44 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নতুন বাজেটের আকার অনেক বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ‘এবারের বাজেট ‍শুধু এক বছরের জন্য হবে না, এই বাজেটে ২০৪১ সাল পর্যন্ত করনীয় বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪০ তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘এবারের বাজেটের নতুনত্ব হলো এটি হবে একটি সহজ বাজেট। যাদের জন্য বাজেট তারা বাজেটটি সহজেই বুঝতে পারবেন। একইসঙ্গে বাজেটটি হবে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত বাজেট।’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল  বলেন, আগামী পাঁচ বছরে দিন দিন করের পরিমাণ কমবে। এবারও করের হার কমবে। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ কর দেয়, এই অভিযোগ আর থাকবে না।  সবাইকে করের আওয়াতায় নিয়ে আসা হবে৷ করের হার কমিয়ে করের মাত্রা বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, করের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এবার কতটা হবে জানি না। তবে আগামী অর্থবছরে ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা কর আহরণ করা হবে। এবার বাজেটের পর আর কোন প্রজ্ঞাপন বা আদেশ (এসআরও) থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এদেশে মুষ্টিমেয় কিছৃ মানুষ ট্যাক্স দেয়। বাকিরা ট্যাক্স দেয় না। যারা দেয় তাদের দুর্ভাগ্য। কিন্তু আরো অনেক মানুষ আছেন যারা কর দেয়ার যোগ্য কিন্তু কর দিচ্ছেন না, তাদের করের আওতায় আনা হবে। তিনি এবার, বাজেটে আমরা অনেক সংস্কার নিয়ে আসবো। ভ্যাট, ট্যাক্স ও কাস্টমসেও সস্কার আনা হবে। তিনি বলেন, যারা রপ্তানি করেন সবাইকে ইনটেনসিভ দেয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বেশ কয়েকটি টার্নিং পয়েন্ট ধরে আজকের বাংলাদেশ। তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে পোষাক শিল্প। পোষাক শিল্পের হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে বিশ্বে ৪০০ থেকে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পোষাক শিল্পের বাজার রয়েছে। প্রতিনিয়ত এই চাহিদা বাড়ছে। সেখাানে আমরা ৪০ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা  আশা করছি। তিনি বলেন, আগামী বাজেটে পোষাক শিল্পে এক টাকাও ট্যাক্স বাড়ানো হবে না। হয় কমানো হবে অথবা অপরিবর্তিত থাকবে।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভায় এফবিসিসিআইয়ের বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরছেন সংগঠনটির সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, প্রধাসমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক সভাপতি সালমান এফ রহমান। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এবারের বাজেট হবে সবচেয়ে বড় বাজেট। বাজেটের খরচের ৬৫ শতাংশ রাজস্ব আহরণ করা হবে। এটা উচ্চাভিলাসি বলা হলেও আমরা চেষ্টা করছি বাস্তবায়ন করতে। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছর অবশ্যই ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়নে কোন সমস্যা হবে না। এটি বাস্তবায়নের জন্য ব্যবসয়ীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ফলে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে কোন সমস্য হবে না।তিনি বলেন, আগামী ১৩ জুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে।  অনান্য বছর যেভাবে বাজেট পেশ করার আগেই সব প্রকাশ করা হয়। এবার ১৩ জুনের আগে তা প্রকাশ করা যাবে না।

বাজেটের আওতা বাড়ানোকে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ নিতে আমরা প্রস্তুত। করের আওতা বাগানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কোন ক্ষতি হবে না। তবে দেশীয় শিল্পের সহযোগীতার জন্য বর্তমানে যে সুযোগ সুবিধা চালু আছে তা অব্যাহত রাখা হবে।’

সারাবাংলা/জিএস/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন