বিজ্ঞাপন

ধ্বংস নয়, আম নিয়ে শিগগিরই বৈঠক

May 5, 2019 | 9:44 am

উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীতে গতবারের মতো এবার অপরিপক্ক, ফরমালিন মেশানো আম ধ্বংস করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো। তাই বাজারে যাতে শুধুমাত্র পরিপক্ক কেমিক্যাল ছাড়া আম থাকে সে বিষয় নিশ্চিতে শিগগিরই ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।

বিজ্ঞাপন

ওই বৈঠকে কিভাবে বাজারে শুধুমাত্র ভালো আম তোলা সম্ভব সে বিষয়ে করণীয় ঠিক করার কথা রয়েছে। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আম নিয়ে এবার কি করা হবে। র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার বলেন, ‘গত বছর যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, সদরঘাট, মোহাম্মদপুর টাউন হলসহ বেশ কয়েকটি আড়তে অভিযান চালিয়ে অপরিপক্ক ও ফরমালিন মেশানো আম ধ্বংস করা হয়েছে। একেকটি অভিযানে হাজার হাজার মন আম ধ্বংস করা হয়। এতে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছিল।’

তিনি জানান, অপরিপক্ক ও ক্যামিকেল মেশানো আম রাজধানীবাসী না খেয়ে উপকার পেয়েছেন। কেউ স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে পড়েননি। তাই এবার ফল ব্যবসায়ীরা বাজারে কাঁচা আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বিক্রি করছেন না। তারা চাইছেন পরিপক্ক আম বাজারে আনতে। এজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বসতে চেয়েছেন তারা; যেন ফরমালিনযুক্ত ও অপরিপক্ক আম বাজারে না আসে।

বিজ্ঞাপন

সরওয়ার আলম আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের দিক থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। আমরাও বসতে চাই। বাজারে যাতে মেডিসিন মেশানো ও অপরিপক্ক আম না আসে। শুধু আমই নয়, বাজারের কোনো ফলেই যাতে কেমিক্যাল না থাকে সেজন্য আমাদের প্রস্তাবনা থাকবে। যা আগে থেকেই আমরা বলে আসছি। আড়তের ফলে কোথাও কোনো কেমিক্যাল পাওয়া না গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত কোনো ফল ধ্বংস করবে না।’

খুব শিগগির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এ মাসের শেষ দিকে বসার কথা রয়েছে। সেখানে রাজধানীর সব ফলের আড়তের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তার থাকবেন।’

বিজ্ঞাপন

সদরঘাট বাদামতলী ফলের আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এমনিতেই বাদামতলী আড়তে ফলের মধ্যে কোনো কেমিক্যাল মেশানো হয় না। যার ফলে যখনই অভিযান হয়েছে এখানকার ফলে কিছু পাওয়া যায়নি। এরপরও ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন একটি বৈঠক হবে সেখানে থাকতে। আমরা সেখানে যাবো। যা বলে শুনবো। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব। অভিযানের আগেই যদি সমাধান হয় সবকিছু তবে সেটাই আমরা মানবো। অযথা কেন ফল ধ্বংস করা হবে। যেখানে কেমিক্যাল পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান চালালে কিছু বলার থাকবে না। রাজধানীবাসী যাতে নির্বিঘ্নে ফল কিনে খেতে পারে সেটা আমরাও চাই।’

বিএসটিআইয়ের পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যদি আগে থেকে সতর্ক থাকেন এবং তারা যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে, কেমিক্যালযুক্ত কোনো ফল বাজারজাত করবেন না, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে সবাই ভালো হোক। কেউ যাতে কেমিক্যাল না মেশায় ফলে। অপরিপক্ক ফল যাতে বাজারজাত না করে কেউ। কয়েকদিনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি বৈঠক আছে। ওই বৈঠকে নিরাপদ ফলের ব্যাপারে আলোচনা হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে এমন ফল না আনেন যেগুলো অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করতে হয়। তাহলে তাদেরও কোনো ক্ষতি হবে না, আবার রাজধানীবাসীও নির্বিঘ্নে ফল কিনে খেতে পারবে।’

উল্লেখ্য, গত বছর ফলের মৌসুমে রাজধানীর বিভিন্ন ফলের আড়তে অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার মণ অপরিপক্ক আম ও কেমিক্যাল মেশানো ফল ধ্বংস করা হয়।

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন