বিজ্ঞাপন

সিরিজ শুরুর আগে টাইগারদের ‘অস্বস্তি’

May 6, 2019 | 12:35 am

স্পোর্টস ডেস্ক

ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩০৮ রান। জয়-পরাজয় এই ম্যাচে মূখ্য নয়। তবে, পরাজয়ের ‘অস্বস্তি’ নিয়ে মূল সিরিজে মাঠে নামবে মাশরাফির দল। প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড উলভস (আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল) দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ৮৮ রানের ব্যবধানে।

বিজ্ঞাপন

ডাবলিনের হিলস ক্রিকেট ক্লাবের মাঠ দ্য ভিনইয়ার্ড গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে ছিলেন না টাইগারদের নিয়মিত দলপতি মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। টাইগারদের নেতৃত্ব দেন সাকিব আল হাসান।

স্বাগতিক দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩০৭ রান। ২০১৭ সালে এই দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশ ছুড়ে দিয়েছিল ৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। ১৯৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা। এই ম্যাচে টাইগার ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নেয় আইরিশ নেকড়েরা। ৪২.৪ ওভারে বাংলাদেশ সবকটি উইকেট হারিয়ে তোলে ২১৯ রান।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলতে হবে টাইগারদের। বিশ্বকাপের আগে এটা নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ টাইগারদের। মূল সিরিজে টাইগারদের প্রথম ম্যাচ ৭ মে, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে উড়ন্ত সূচনা করেছে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিবীয়ান ওপেনার শাই হোপ ১৫২ বলে খেলেন ১৭০ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ২২টি চার আর দুটি ছক্কা। এদিকে, আরেক ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ১৩৭ বলে করেন ১৭৯ রান। তার ইনিংসে ছিল ১৫টি চার আর ৬টি ছক্কার মার। শাই হোপের এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি আর ক্যাম্পবেলের প্রথম। দুজন মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৩৬৫ রান।

বিজ্ঞাপন

ওয়ানডে ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড এটি। এর আগে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান ৩০৪ রানের জুটি গড়েছিলেন গত বছর জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ড্যারেন ব্রাভো ৭ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন ১ রান করা ক্যারিবীয়ান দলপতি জেসন হোল্ডার। ৫০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়ানরা তোলে ৩৮১ রান। জবাবে, ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা। ১৯৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে জেসন হোল্ডারের দলটি।

এদিকে, টাইগার-উলভস প্রস্তুতি ম্যাচে দলীয় ৩৩ রানে আইরিশ ওপেনার জ্যাক টেক্টরকে ফিরিয়ে দেন রুবেল হোসেন। মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়ার আগে এই ওপেনার করেন ২৫ বলে তিন বাউন্ডারিতে ১৫ রান। তিন নম্বরে নামা জেমস শ্যানন বিদায় নেন সাকিবের শিকারে। লিটন দাসের তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি করেন ২৫ বলে ১৮ রান। দলীয় ৭৯ রানে আইরিশ দলটি দ্বিতীয় উইকেট হারায়।

এর পরই জুটি গড়েন আরেক ওপেনার জেমস ম্যাককোলাম এবং সিমি সিং। সিমি সিংকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ম্যাককোলাম তুলেছেন ১২৪ রান। ৩৮তম ওভারে রুবেলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ওপেনার ম্যাককোলাম ১০৯ বলে করেন ১০২ রান। তার ইনিংসে ছিল ১৫টি চার আর একটি ছক্কা। সিমি সিং ৯৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৯১ রান করে আউট হয়েছেন ৪৫তম ওভারে। শেষ ৫ ওভারে ৫১ রান তুলেছে দলটি। দলপতি হ্যারি টেক্টর ৮, গেটকাটে ৯, দোহেনি ১, রক ৯ রান করেন। শেষ দিকে ১৩ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন টাইরনি কেন, ৩ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রেইগ ইয়ং।

বিজ্ঞাপন

টাইগারদের বোলিং ইনিংস: রুবেল হোসেন ৯-০-২-৬৩, তাসকিন ১০-০-৩-৬৬, ফরহাদ ১০-০-১-৬৬, সাকিব ১০-১-১-৩০, মিরাজ ৬-০-১-৪৪, সাব্বির ৫-০-০-৩৫।

৩০৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ৩৩ বলে করেন ২১ রান। আরেক ওপেনার লিটন দাস ফেরেন ৩৯ বলে ২৬ রান করে। তিন নম্বরে নামা সাকিব ৪৩ বলে ৭টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৫৪ রান। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। ১৩ রানে বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৪৮ বলে তিন বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারিতে করেন ৩৭ রান। মিরাজ ৬, ফরহাদ রেজা ১৫, তাসকিন ১৪ রান করেন। রুবেল হোসেন ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

স্বাগতিক বোলার সিমি সিং চারটি, কেন দুটি উইকেট পান। একটি করে উইকেট পান ইয়ং, চেজ এবং গেটকাটে।

ত্রিদেশীয় সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি:
৫ মে: আয়ারল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ক্লোনটার্ফ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯৬ রানে জয়ী)
৭ মে: ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ, ক্লোনটার্ফ
৯ মে: আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ, মালাহাইড
১১ মে- আয়ারল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মালাহাইড
১৩ মে- ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ, মালাহাইড
১৫ মে- আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ, ক্লোনটার্ফ

বিজ্ঞাপন

১৭ মে- ফাইনাল, মালাহাইড

সারাবাংলা/এমআরপি

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন