বিজ্ঞাপন

মূল্য সংশোধনে পুঁজিবাজারে কমেছে সূচক ও লেনদেন

May 6, 2019 | 5:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের নিম্নমুখি প্রবণতা দিয়েছে শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবগুলো সূচকের বড় পতন হয়েছে। দিন শেষে কমেছে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেন। লেনদেনের এই চিত্র অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও লক্ষ করা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নানা পদক্ষেপে গত সপ্তাহের শেষদিকে পতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসে পুঁজিবাজার। টানা তিনদিন সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার (৬ মে) দেশের দুই পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধন হয়েছে। বাজারের এই আচরণকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বাজার বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, পুঁজিবাজারে টানা উত্থান কিংবা পতন কোনোটাই স্বাভাবিক নয়। বরং টানা উত্থানের পর মূল্য সংশোধন বাজারের জন্য ইতিবাচক।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৩৪৫টি কোম্পানির ১৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭ হাজার ৪১৫ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ২৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৫৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে নেমে আসে। ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসইতে আর্থিক লেনদেন হয় ৪৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

অন্যদিকে সোমবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৩৬টি কোম্পানির ৭৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৫টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বিজ্ঞাপন

দিন শেষে সিএসইতে ২০ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। রোববার (৫ মে) সিএসইতে কেনাবেচা হয়েছিল ২৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউওনিট। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০৯ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৩৯৪ পয়েন্ট নেমে আসে। আগের দিন সিএসইর সূচক ছিল ১৬ হাজার ৫০৩ পয়েন্ট।

সারাবাংলা/জিএস/একে

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন