বিজ্ঞাপন

কিশোরগঞ্জে বাসে গণধর্ষণ: ৫ আসামির ৮ দিন করে রিমান্ড

May 8, 2019 | 5:28 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) নামে এক নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় পাঁচ আসামির প্রত্যেককে আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল মামুন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত পরিদর্শক তৌফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি, তদন্ত) সানোয়ার জাহান আট আসামিকে আদালতে হাজির করে তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড মঞ্জুর করা আসামিরা হলেন— বাসের চালক নূরুজ্জামান, চালকের সহকারী লালন মিয়া, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া ও বকুল মিয়া।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে শাহিনুর আক্তার তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

ময়নাতদন্ত শেষে জেলার সিভিল সার্জন ডা. হাবীবুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও আঘাতজনিত কারণে ওই তরুণীর মৃত্যুর আলামত মিলেছে।ডিএনএ  পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেলে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। পরে রাতেই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তানিয়ার বড় ভাই মরদেহ বুঝে নেন।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত নার্স তানিয়া সোমবার বিকেলে বাড়িতে আসার জন্য রাজধানীর মহাখালী থেকে স্বর্ণলতা পরিবহণের একটি বাসে উঠেন। বাসটি কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া জামতলী নামক স্থানে পৌঁছার পর বাসের চালক ও সহকারীসহ অন্যান্যরা ধর্ষণ করে চলন্ত বাস থেকে তাকে ফেলে দেয়। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাত পৌনে ১১ টার দিকে তানিয়াকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সারাবাংলা/ওএম/এমএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন