বিজ্ঞাপন

অনুদানে অনিয়ম: প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছে

May 8, 2019 | 6:09 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র শাখায় অনুদান প্রত্যাশী ছিলেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। বাছাই কমিটির সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও সরকারি অনুদান পায়নি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের চিত্রনাট্য ‘হীরালাল সেন’।

বিজ্ঞাপন

পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য শাখায় অনুদানের প্রজ্ঞাপন জারি হয় ২৪ এপ্রিল। ২৫ এপ্রিলেই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন তথ্যমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন করেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

এরপর অনেক দিন পার করে তথ্য মন্ত্রণালয় ৫ মে একটি চিঠি দিয়েছে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনকে। উপসচিব মোহাম্মদ ইকরামুল হক সরকারের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়েছে-

উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের জনক প্রয়াত হীরালাল সেনের ওপর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মিত হলে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে এবং চলচ্চিত্র বান্ধব জনগণের নিকট প্রসংশনীয় হবে মর্মে আশা করা যায়। এ কারণে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদান প্রদানের বিষয়ে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান বাছাই কমিটি’ বিবেচনার জন্য সুপারিশ করে।

বিজ্ঞাপন

গত ৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’র সভায় ‘হীরালাল সেন’সহ বাছাইকৃত সকল চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়। সভায় উপস্থাপিত ‘হীরালাল সেন’র পান্ডুলিপি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। গল্পটি মূলত: একটি গবেষণাধর্মী এবং এর চিত্রনাট্য আরো সুসংহত হওয়া বাঞ্ছনীয় মর্মে সদস্যবৃন্দ মতামত জ্ঞাপন করেন। এ কারণে সভায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ‘হীরালাল সেন’র চলচ্চিত্রটি অনুদানের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। তবে যথাযথ চিত্রনাট্য পরবর্তীতে উপস্থাপন করা হলে প্রস্তাবিত ‘হীরালাল সেন’ চলচ্চিত্রটি অনুদানের জন্য বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। সন্তুষ্ট না হওয়ার পেছনে তিনটি প্রসঙ্গ সামনে এনেছেন তিনি। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের উত্থাপিত নতুন তিন প্রসঙ্গ হচ্ছে-

১. অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০১২ (সংশোধিত)- এর ১২ নম্বর পয়েন্টের সাতটি ধারাই অনুদান কমিটি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে ‘ছ’ নম্বরে উল্লেখ থাকা অনুদানের জন্য আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেওয়ার কাজটি কখনোই করেননি কমিটির সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

২. পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে আকরাম খানের ‘বিধবাদের কথা’ ছবিটির নাম পরিবর্তন সাপেক্ষে এবং ‘অন্তষ্টিক্রিয়া’, ‘১৯৭১ সেইসব দিন’, ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবিগুলোর গল্প/পাণ্ডুলিপি পরিমার্জন/সংশোধন সাপেক্ষে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। আমাকে পাঠানো চিঠিতে ‘হীরালাল সেন’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের অনেক প্রসংশা করেছে মন্ত্রণালয়। এত ভালো চিত্রনাট্যকে গল্প/পাণ্ডুলিপি পরিমার্জন/সংশোধন সাপেক্ষেও তো অনুদান দেয়া যেত। যে সুযোগ অন্য চিত্রনাট্যগুলো পেয়েছে।

৩. অনুদান কমিটির একটি সভা হয়  চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। সেখানে কমিটির সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন যে, নম্বর দিয়ে আর চিত্রনাট্য মূল্যায়ন করবে না বাছাই কমিটি। শুধু মন্তব্য লেখা থাকবে। আমার বক্তব্য হলো, এই সিদ্ধান্ত অনুদান কমিটি নিতে পারে না বা অনুদান কমিটি এই সিদ্ধান্ত বাছাই কমিটিকে দিতে পারে না। কারণ বাছাই কমিটি অনুদান কমিটির অধীনস্ত না। আর নম্বরের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে চাইলে নীতিমালায় পরিবর্তন করতে হবে।’

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন নতুন অভিযোগ এবং সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জানতে চলচ্চিত্র (অনুদান) বিষয়ের দায়িত্বে থাকা তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইকরামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা জানান। এমনকি বিষয়টি নিয়ে অনুদান কমিটির কোনো সদস্যও কথা বলতে চাননি।

প্রচ্ছদ অলংকরণ: আবু হাসান

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিএ/পিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন