বিজ্ঞাপন

একাডেমি নয়, টাকাতেই ভরসা এখন বার্সার

May 15, 2019 | 3:07 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

ইউরোপীয় ফুটবল বিশ্বের উজ্জ্বল নক্ষত্র এফসি বার্সেলোনা। একমাত্র ক্লাব হিসেবে আছে দুটি ট্রেবল জয়ের ইতিহাস। সেই সাথে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ২০০৯ সালে বার্সা পায় তাদের ইতিহাসের সেরা দল।

বিজ্ঞাপন

মহনীয় ফুটবল দিয়েই ইউরোপ শাসন করেছে কাতালানরা। এক ঝাঁক বিশ্বসেরা ফুটবলার আর সাথে পেপ গার্দিওয়ালার যুগান্তকারী এক ফুটবল কৌশল। কি ছিল না সেই বার্সার?

বার্সার নিজেস্ব ফুটবল একাডেমী লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা এক ঝাঁক ফুটবলার নিয়ে গড়ে ওঠে ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল। আর বার্সার এই ফুটবলারদের নিয়েই স্পেন জেতে টানা দুই ইউরো আর এক বিশ্বকাপ।

গার্দিওয়ালার তিকিতাকা, আর বার্সার গোলকিপার থেকে আক্রমণ ভাগ পর্যন্ত লা মাসিয়ার ফুটবলার। এই দিয়েই দাবিয়ে রাখলেন ফুটবল বিশ্বকে। গোলকিপার পজিশনে ভিক্টর ভালদেস। লা লিগার ইতিহাসের সেরা গোলরক্ষক হওয়ার দৌড়ে টেক্কা দিয়েছেন ইকার ক্যাসিয়াসকে।

বিজ্ঞাপন

ডিফেন্সে ছিলেন কিংবদন্তী কার্লোস পুয়েল আর জেরাড পিকে। মিড ফিল্ডে ছিলেন মায়েস্ত্রো জাভি আর ম্যাজিক্যাল ইনিয়েস্তা। আরো ছিলেন গার্দিওয়ালার তিকিতাকার মেরুদন্ড সার্জিও বুস্কেটস। ফরোয়ার্ডে যার নাম না নিলেই নয় লিওনেল মেসি।

তবে এ যেন এখন কেবল অতীত। সেই জৌলুস এখন আর নেই লা মাসিয়ার। এক সময় রিয়াল মাদ্রিদ যেমন গ্যালাক্টিকোদের দলে ভিড়িয়েছেন কাড়ি কাড়ি অর্থ দিয়ে। সে পথে এখন আছে বার্সেলোনা। আসছে না লা মাসিয়া থেকে এখন আর আগের মতো জাভি, ইনিয়েস্তা কিংবা নতুন কোন মেসি।

তাই তো দলের প্রয়োজনে একের পর এক রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচ করে কিনছেন নতুন নতুন ফুটবলার। ২০১৩ সালে নেইমার জুনিয়রকে সান্তোস থেকে দলে ভেড়ায় ৫৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে। যদিও পরবর্তীতে কোর্টে বার্সা প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেন নেইমারকে দলে ভেড়াতে খরচ হয়েছিল ১১৪ মিলিয়ন ইউরো। ট্যাক্স চুরি করার জন্যই লুকিয়েছিলেন আসল তথ্য।

বিজ্ঞাপন

এরপর লিভারপুল থেকে ৮২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে দলে ভেড়ানো হলো লুইস সুয়ারেজকে। এরপর ২০১৬-১৭ মৌসুমে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে দলে যুক্ত করা হলো আন্দ্রে গোমেজকে।

তবে বার্সা সব থেকে বেশি অর্থ খরচ করেছে ২০১৭-২০১৮ মৌসুমে। সে মৌসুমেই ক্লাব রেকর্ড ১৬০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে লিভারপুল থেকে কৌতিনহোকে দলে ভেড়ায় বার্সা। আর ১৯ বছর বয়সী উসমান দেমবেলের জন্য বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে দিয়েছে ১৪০ মিলিয়ন ইউরো। সেই সাথে আছে আরও বেশ কিছু ট্রান্সফারও।

২০১৮-১৯ মৌসুমেও ফুটবলার কেনাকাটার বাজারে চুপ করে বসেছিল না বার্সা। ৪১ মিলিয়ন ইউরো খরচে দলে ভেড়ায় ব্রাজিলিয়ান ম্যালকমকে। আর ৩৫ মিলিয়ন খরচ করে ক্লেমেন্ট লেংলেটের পেছেন।

আগামী মৌসুমের জন্যও ইউরোপের দলবদলের মৌসুমে বার্সা ব্যস্ত সময় পার করছে। আয়াক্স থেকে মিড ফিল্ডার ডি ইয়ংকে ৮০ মিলিয়নের বিনিময়ে চুক্তি করে ফেলেছে। গুঞ্জন উঠেছে ডি ইয়ংয়ের সতীর্থ ডি লিটকেও ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে দলে ভেড়াবে কাতালানরা। আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করতে ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে যুক্ত হতে পারেন ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী তারকা ফুটবলার অ্যান্তোনিও গ্রীজম্যানও।

বিজ্ঞাপন

২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনা নতুন ফুটবলার কেনার পেছনে খরচ করেছে প্রায় ১.০৭ বিলিয়ন ইউরো। যা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে প্রায় চার গুন বেশি।

তাহলে কি লা মাসিয়ার জৌলুস ফুরিয়ে গেছে? যে একাডেমি নিয়ে বার্সেলোনা বরাবরই গর্ব করতো সেখান থেকে আসছে না আর কোন ফুটবলার। যে কারণে রিয়ালকে দুয়ো দিতো, সে পথে হাটছে বার্সা।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন