বিজ্ঞাপন

‘৯৫ ভাগ মানুষ ভেবেছিল, ওকে দিয়ে হয়তো হবে না’

January 29, 2018 | 6:03 pm

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম থেকে

বিজ্ঞাপন

চাইলে রজার ফেদেরারের দৃষ্টান্তটা টানতে পারতেন। ৩৬ হয়ে গেছে, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আরও একবার গতকাল বুঝিয়ে দিলেন এখনো কোর্টে যেন চিরসবুজ ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা ফেদেরার। অতদূর যাওয়ার দরকার কী, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথই তো প্রায় চল্লিশ ছুঁই ছুঁই বয়সেও আগের মতোই যেন দুর্বোধ্য। সেই হিসেবে রাজ্জাকের ৩৫ বছর বয়স তো এমন কিছুই নয়।

তবে রাজ্জাকের প্রেক্ষাপট আর পরিস্থিতির জন্য এই ফেরাটা হয়ে যাচ্ছে বিশেষ কিছু। নিজেকে তাই তরুণদের জন্য উদাহরণ হিসেবেই দেখছেন।

বয়স ৩৫ হলেও রাজ্জাকের জন্য এই ফেরাটা অবশ্য একটু আলাদা কিছুই। ২০১৪ সালের পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি, এমনকি ‘এ’ দলের জন্যও নেওয়া হয়নি বিবেচনায়। জাতীয় দলে রাজ্জাকের এপিটাফ লেখা হয়ে গেছে, অনেকেই হয়তো তা মনে করেছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তো অনেক দিন ধরেই পারফর্ম করছেন, কিন্তু ফিটনেস আর বয়সের অজুহাতে নির্বাচকদের কাছ থেকে পেয়েছেন উপেক্ষাই। রাজ্জাকের এই ডাক পাওয়া তো শুধু জাতীয় দলে ফেরা নয়, সুযোগের অপেক্ষায় থাকা আরও অনেকের জন্য একটা প্রেরণার দীপশিখাও বটে। নিজেই তো আজ তা মনে করিয়ে দিলেন।

বিজ্ঞাপন

গণমাধ্যমে রাজ্জাক জানালেন, ‘আসলে আমার কাছে মনে হয় এটা এখন সবার জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকা উচিত। অনেক সময় তরুণ ক্রিকেটারদের দেখা যায় তাদের ভাবনায় থাকে আর হবে না কিংবা হচ্ছে না বা এরকম। আমার মনে হয় কারো এরকম ভাবনা থাকা উচিত নয়।’

রাজ্জাক তাই নিজের কাজটা করে যাওয়ার ওপরেই জোর দিলেন, ‘আপনি ভালো খেলতে থাকলে দলে একটা না একটা সময় আপনাকে প্রয়োজন হবেই। আপনার সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষাটা কত দিনের হবে সেটা চিন্তা করা কঠিন। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে। ৯৫ শতাংশ মানুষই ধরে নিয়েছিল আর হয়তো আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। কিন্তু আমার ভেতরে কিছু একটা কাজ করতো যে আমি খেলব।’

সেই ‘কিছু একটা’ কি এখন আরও বাড়তি সংকল্পের সঞ্জীবনী সুধা? বিশেষ করে প্রতিপক্ষ দলে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের জন্য সেটা কি জেদ হয়ে যাচ্ছে? হাথুরু আসার পরেই তো জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে গেছেন। রাজ্জাক অবশ্য এসব কিছু আমলে নিচ্ছেন না।

বিজ্ঞাপন

স্পিন ঘূর্ণিতে অনেকবারই জাদু দেখানো রাজ্জাক যোগ করেন, ‘আসলে এটা পার্ট অব লাইফ। এটা পার্ট অব ক্রিকেট। যেকোনো কাজেই কখনো ভালো সময়, খারাপ সময় আছে। কখনো ভাগ্য পক্ষে থাকবে, কখনো থাকবে না। এরকমই হয়। আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। আমি চেষ্টা করবো ভালো খেলার। এটা যে হাথুরুসিংহের জন্য তা না। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য।’

সুযোগ পেলে সাকিবের শুন্যতা পূরণ করা কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে, এমন প্রশ্নও চলে এলো। রাজ্জাক স্বীকার করলেন, কাজটা অনেকটাই কঠিন, ‘সাকিব আমাদের দেশের এবং বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। ওর জায়গাটা কাউকে খেলাতে হলে একটা বোলার এবং একজন ব্যাটসম্যান খেলাতে হয়। সেটাও পুরোপুরি ওর মতো হবে কিনা সেটা নিয়েও একটা সংশয় থেকে যায়। ঘাটতি তো আসলে পূরণ হয়ই না। তারপরও দলকে কোনো না কোনো ভাবে এটা ম্যানেজ করতে হবে।’

রাজ্জাক এখন নিশ্চয় চাইবেন সুযোগ পেলে সেই শুন্যতা ঢাকতে।

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন