May 17, 2019 | 4:03 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: পদ্মার মূল সেতুর দুই পাশে মাটির উপর ভায়াডাক্ট পিলারে আই-গার্ডার বসানো শুরু হয়েছে। ৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যে ৬টি আই-গার্ডার দিয়ে রেল লাইনের স্লাব বসানোর উপযোগী করা হয়। সেতুর মাওয়ায় এরকম ৭টি ও জাজিরায় ৭টি করে ভায়াডাক্টে মোট ৮৪টি আই গার্ডার থাকবে। প্রথমবারের মত জাজিরায় ৬টি গার্ডার পিলারে তুলে দেওয়া হলো।
শুক্রবার (১৭ মে) জাজিরা প্রান্তে ২০ ও ২১ নম্বর পিলারে রেল লাইনের স্লাব বসানোর জন্য গার্ডার বসানো শুরু হয়। ক্রেন দিয়ে টেনে একেকটি গার্ডার দুই পিলারের মধ্যে বসানো হয়।
পদ্মাসেতুর ভায়াডাক্ট পিলারগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি আই গার্ডারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে। গার্ডারের ওপর রেল স্লাব বসানো হলে লাইন দৃশ্যমান হবে।
এদিকে, সেতুর ১৩তম স্প্যান বসবে আগামী ১৯ মে আর ১৪ তম স্প্যান বসবে ৩০ মে। তখন দৃশ্যমান হবে সেতুর ২১শ মিটার অংশ। বাকি থাকবে আরও ২৭টি স্প্যান বসানো। ৪১টি স্প্যান ও ৪২টি পিয়ারে হবে ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্বপ্নের পদ্মাসেতু।
পদ্মাসেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং (এমবিইসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চীনের চায়না মেজর ব্রিজইঞ্জিনিয়ারিং (এমবিইসি) সূত্র জানায়, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা পদ্মাসেতু গড়তে তাদের সবচেয়ে বেশিযুদ্ধ করতে হয়েছে পদ্মার তলদেশে। তলদেশে মাটির গঠনগত বৈচিত্র্যের কারণে ১১ পিয়ারের নকশায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে।
শুরুর দিকে মাওয়া অংশে কাজ বাদ দিয়ে জাজিরা চলে যেতে হয়েছে। তারপর বছর খানেক পর পুনরায় পিয়ার ডিজাইন হাতে পাওয়ার পর মাওয়া অংশে কাজ শুরু হয়।
পদ্মাসেতুর মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, সেখানেই প্রস্তুত ২১টি স্প্যানের মধ্যে ১২টি নদীর পিয়ারে বসে গেছে।
আর জাজিরা প্রান্ত থেকে পদ্মাসেতুর রোড স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ছয় লেন প্রশস্ত পাঁচটি রোড স্ল্যাব বসে গেছে। আর ভেতরে রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
পদ্মাসেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসবে। প্রস্তুত করে রাখা আছে প্রায় ৩৫০ রোডওয়ে স্ল্যাব। এছাড়া, ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ২৯২টি স্ল্যাব বসেছে স্প্যানগুলোতে।
আগামী বছরের শেষদিকে পুরোপুরি কাজ শেষ হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর।
সারাবাংলা/এসএ/জেএএম