বিজ্ঞাপন

এতজন স্পিনার কোথায়, উলটো প্রশ্ন মিনহাজুলের

January 29, 2018 | 6:38 pm

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম থেকে

বিজ্ঞাপন

সাকিব আল হাসান গেলেন, এলেন আরও তিন জন। সানজামুল ইসলাম, তানভীর হায়দার আর আবদুর রাজ্জাকের সবাই তো স্পিনার। সবমিলে ১৬ জনের দলে এখন বিশেষজ্ঞ স্পিনারই হলেন ছয় জন। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন আজ চট্টগ্রামে উলটো প্রশ্ন করলেন, ‘দলে এতগুলো স্পিনার কোথায়?’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে শুরুতেই ছিল চমক। মাত্র আটটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে তরুণ নাঈম হাসান ঢুকে গেছেন ১৪ জনের দলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের যে ‘স্পিন-ফাঁদের’ শুরু, সেটা অনুমান করে নাঈমকে রাখাটা খুব বিস্ময়কর ছিল না। সাকিবের সঙ্গে মিরাজ, তাইজুলকে ধরলে আরেকজন বাড়তি স্পিনারকে বিকল্প হিসেবে রাখাই যেত।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু সাকিব চোট পেয়ে ছিটকে পড়ার পরেই যেন একটা অস্থির হাওয়া। সাকিবের চোটের দিনই ডাকা হলো সানজামুল, তানভীরকে, পর দিন আরও বড় বোমা ফাটিয়ে রাজ্জাককেও ফেরানো হলো। একাদশে ছয়জন স্পিনার রাখার কারণটাও জানতে চাওয়া হলো প্রধান নির্বাচকের কাছে। তবে বেশি স্পিনারের ব্যাপারটা মিনহাজুল মানলেনই না।

‘এতগুলো কোথায়? ৪ জন স্পিনার আছে। অনেকগুলো কোথায়? ৩ জন তো খেলেই আমাদের। একজন হয়ত বাইরে থাকবে। অনেকগুলি তো নেই। দলের জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার হবে, সেটি করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

কিন্তু সানজামুল, তানভীরকে যখন ডাকা হবে তখন রাজ্জাককে কেন নেওয়া হলো? আবার রাজ্জাককেই যখন নেওয়া হবে, ওই দুজনকে ডাকার কি দরকার ছিল? মিনহাজুল অবশ্য স্পষ্ট করে জবাবটা দিতে পারলেন না, ‘যেহেতু দেশের মাটিতে দুটি টেস্ট আছে সিরিজে, এজন্য ১৬ জনের স্কোয়াড করেছি। যার পজিশন ভালো থাকবে, তাকেই আমরা খেলাব। যেহেতু দেশের মাটিতে খেলা, যে কোনো কাউকে ডাকতে পারি। ’

রাজ্জাককে প্রায় চার বছর পর হুট করে ডাকা কোন ভাবনা থেকে? মিনহাজুলের ব্যাখ্যা, ‘সানজামুলের টেস্ট অভিজ্ঞতা নেই বলেই পরে রাজ্জাককে নেওয়া হয়েছে। হুট করে নয়। এটা প্রক্রিয়াতেই ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে দেশের মাটিতে আমরা স্পিনারদের ওপর নির্ভর করেই খেলছি। রাজ্জাক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আমাদের নিয়মিত খেলা সাকিব চোট পেয়েছে। এজন্য আমরা চিন্তা করলাম যে সানজামুল তো নতুন। ও আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। তাইজুলও আছে। আমরা চিন্তা করলাম রাজ্জাক যেহেতু ঘরোয়াতে ভালো করছে, ওকে দলের সঙ্গে রাখলে যদি সুযোগ আসে তাহলে দেখা যাবে। খেলা শেষে আমরা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করতে পারিনি। আরেক জনকেও দেওয়ার চিন্তা ছিল। ’

বিজ্ঞাপন

তার মানে কি রাজ্জাক আগে থেকেই নির্বাচকদের ভাবনায় ছিলেন? এবার মিনহাজুলের আত্মপক্ষ সমর্থন, ‘অবশ্যই। ভাবনায় না থাকলে তো আজকে চট্টগ্রামে প্রথম অনুশীলন সেশনেই থাকে না। এটা তো বলতে পারেন না যে হুট করে আনা হয়েছে ওকে।’

এখন রাজ্জাককে যখন নেওয়াই হলো, এতজন স্পিনার থেকে কী হিসেবে একাদশ ঠিক হবে? নেটে দেখেই কি ঠিক করা হবে এবারও মিনহাজুলের উত্তরটা অস্পষ্ট, ‘নেটে না, এটির একটি প্রক্রিয়া আছে। টিম ম্যানেজমেন্টের একটা চিন্তা ভাবনা আছে, পরিকল্পনা আছে। সেসব নিয়ে আমরা বসব। তারপর ঠিক করব।’

বিজ্ঞাপন

সাকিবকে হুট করে হারিয়ে ফেলায় ‘প্ল্যান এ’ তে গড়বড় হয়ে গেছে, মিনহাজুলের কথায় সেই আভাসই বোধ হয় পাওয়া গেল। মাঠে ‘প্ল্যান বি’টা যাতে সবাই বাস্তবায়ন করতে পারে, এখন নিশ্চয় সেটাই চাইবে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন