বিজ্ঞাপন

কাটছে না অস্বচ্ছতা, বাড়ছে অনুদানের কলেবর

May 18, 2019 | 11:14 am

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা কাটছেই না। অনুদান কমিটির চার সদস্যের পদত্যাগ এবং পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে প্রত্যাহার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ‘হীরালাল সেন’ চিত্রনাট্যটি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও অনুদান না পাওয়ার সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে কোনো সাক্ষাৎকার ছাড়াই অভিনেত্রী শমী কায়সারের ছবিকে অনুদান দেওয়া।

বিজ্ঞাপন

অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০১২ (সংশোধিত)- এর ১২ ধারার ‘ছ’ উপধারায় উল্লেখ আছে- অনুদানপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করার আগে আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিতে হবে। কিন্তু শমী কায়সারের নাম প্রকাশের আগে তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা বলেননি অনুদান কমিটির সদস্যরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনুদান কমিটির এক সদস্য তা স্বীকার করেছেন।

তবে ‘হীরালাল সেন’ চিত্রনাট্যের জন্য জাহাঙ্গীর হোসেনের অভিযোগকে আবারও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন অনুদান কমিটির সদস্য মোরশেদুল ইসলাম। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি, বাছাই কমিটি নম্বর দিয়ে যে তালিকা পাঠিয়েছিল তা পরিবর্তন হয়েছে। আর সর্বোচ্চ নম্বর পেলেই যে অনুদান পাবে বিষয়টি একেবারেই সেরকম নয়। তাছাড়া তার চিত্রনাট্য গবেষণা হিসেবে ভালো, চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য হিসেবে নয়। আমরা অনুদান পাওয়া তিনটি চিত্রনাট্যকে পরিমার্জন করার সুযোগ দিয়েছি। তবে হীরালাল সেনের চিত্রনাট্যকে অন্য তিনটি অনুদানপ্রাপ্ত ছবির মতো পরিমার্জন করার সুযোগ দিলেও লাভ হতো না।’

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ৫ মে লিখিত অভিযোগ করেন তথ্যমন্ত্রী বরাবর। তথ্য মন্ত্রণালয় তার অভিযোগের জবাবও দিয়েছে। তিনি এর আগে ২৫ এপ্রিল আরও একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তথ্যমন্ত্রী বরাবর, যার কপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতে তিনি ‘হীরালাল সেন’ শীর্ষক জীবনীভিত্তিক ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনী চলচ্চিত্র’ নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান প্রদানে বঞ্চনা ও অবিচারের প্রতিকার বিধানের পুনঃআবেদন করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে অনুদানের কলেবর বাড়তে পারে। অনুদান কমিটির চার সদস্য বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, খ্যাতিমান নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম এবং মতিন রহমানের পদত্যাগ ঠেকাতে তথ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে তারা অনুদানের ছবির সংখ্যা এবং অনুদানের অর্থ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তথ্যমন্ত্রী তাদের সেই প্রস্তাব রাখার আশ্বাস দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় অনুদানের কলেবর বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অনুদান কমিটির একটি সূত্র সারাবাংলাকে জানান, আগামী বছর থেকে পূর্ণদৈর্ঘ্য শাখায় আটটির জায়গায় দশটি ছবিকে অনুদান দেয়া হতে পারে। আর অনুদানের অর্থের পরিমান ৬০ লাখ থেকে বেরে হতে পারে ৭৫ লাখ। তবে অর্থের বিষয়টি নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে কারণ এর সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয় জড়িত।

অন্যদিকে অনুদানের কলেবর বাড়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮টির জায়গায় মোট ৯টি ছবিকে (সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে শমী কায়সারের ছবি) অনুদান দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিএ/পিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন