বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম চেম্বারে ফের সভাপতি মাহবুবুল, নেতৃত্বে রুহুল আমিনও

May 20, 2019 | 6:01 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশের শিল্পপতি-ব্যবসায়ীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি পদে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন মাহবুবুল আলম। চট্টগ্রাম চেম্বারে ফের সভাপতি মাহবুবুল, নেতৃত্বে রুহুল আমিনওতবে চমক এসেছে অন্যতম দুটি শীর্ষ পদে। সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য এম এ লতিফের ছেলে ওমর হাজ্জাজ ও সহসভাপতি হয়েছেন বন্দরের আলোচিত ব্যবসায়ী তরফদার রুহুল আমিন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২০ মে) চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের নবনির্বাচিত পরিচালকদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তিনজন শীর্ষ নেতৃত্বসহ ২৪ জনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি ২১ জন সদস্য পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘চেম্বারের সম্মানিত সদস্য ও পরিচালকরা আবারও আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। অতীতের মতো আমার কর্মদক্ষতা দিয়ে ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করে চেম্বারকে এগিয়ে নিতে চাই।’

মাহবুবুল আলম দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অ্যাসোসিয়েট গ্রুপের সদস্য হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর মাহবুবুল আলম আবারও সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন গতবছর চেম্বারের পরিচালক হিসেবে অর্ন্তভুক্ত হয়েছিলেন। এবার তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হয়ে সহসভাপতির দায়িত্বে গেলেন। টাউন অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে পরিচালক পদে মনোনয়ন দাখিল
করেছিলেন তরফদার রুহুল আমিন।

সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম চেম্বার শতবছরের ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন। এই সংগঠনের নেতৃত্বে আসতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর। এই বন্দর দিয়েই দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় শতভাগ পরিচালিত হয়। আমি চেম্বারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতিশীলতা রক্ষায় ভূমিকা রাখব।’

সিনিয়র সহসভাপতি এনার্জি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর হাজ্জাজের বাবা এম এ লতিফ চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর আসনের সংসদ সদস্য। মাহবুবুল আলমের আগে এম এ লতিফ দুইদফা চেম্বারের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সবশেষ পর্যন্ত তিনি তিন দফায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

১৩ জুন চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে চারটি গ্রুপ থেকে ২৪ জন পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচন আর হচ্ছে না।

তিনটি শীর্ষ পদ ছাড়া বাকি ২১ জন পরিচালকের অধিকাংশ পদে এবার এসেছেন তরুণ শিল্পপতি-ব্যবসায়ীরা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এশিয়ান গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ আহমেদ সালাম, কেএসআরএম-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত, হাবিব গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান হাবিব, প্যাসিফিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. তানভীর, টি কে গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মার্শাল, রিচি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পাওয়ার বাংলা করপোরেশনের স্বত্তাধিকারী নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। এদের মধ্যে শারুন জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে।

প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতৃত্বে আসার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাকিফ আহমেদ সালাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এবার বেশ কয়েকজন তরুণ চেম্বারের নেতৃত্বে এসেছেন। আমি মনে করি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দেশে এবং দেশের বাইরে থেকেও লেখাপড়া করে এসে শিক্ষিত তরুণরা এদেশের
ব্যবসা-বাণিজ্যে যুক্ত হচ্ছেন। তাদের হাত ধরে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সংগঠনেও তরুণরা তাদের মেধা-দক্ষতার স্বাক্ষর রাখবে। তরুণদের হাত ধরে এদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যও এগিয়ে যাবে।’

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন