বিজ্ঞাপন

দখল-দূষণ রোধে ৫ নদী নিয়ে মহাপরিকল্পনা প্রস্তুত: নৌপ্রতিমন্ত্রী

May 20, 2019 | 7:14 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দখল ও দূষণ বন্ধের জন্য চট্টগ্রামের কর্ণফুলীসহ দেশের পাঁচ নদী নিয়ে খসড়া মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। খসড়া মহাপরিকল্পনাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে আসেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কর্ণফুলী, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গাসহ পাঁচটি নদীর দখল ও দূষণরোখে খসড়া মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই এটি প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে ছিলেন। এজন্য খসড়া মাস্টারপ্ল্যান তৈরি থাকলেও উপস্থাপন করতে পারিনি। আশা করছি, দুএক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেবেন।’

কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য অভিযান কিছুটা শ্লথ দেখা গেছে। এটা বন্ধ হয়নি। উচ্ছেদ অভিযান চলবে।’

বিজ্ঞাপন

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলীর তীরে নগরীর সদরঘাট থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছিল। টানা পাঁচদিন অভিযান চালিয়ে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি ভূমি দখলমুক্ত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্যায়ের অভিযান। কিন্তু এরপর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে উচ্ছেদ কার্যক্রম।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া প্রকলল্প বাস্তবায়নে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বে-টার্মিনালের কার্যক্রম থেমে নেই, যদিও দৃশ্যমান হয়নি এখনো। ১৩২ বছরের পথচলা বন্দরের। আমরা বিশ্বের ১০০ বন্দরের তালিকায় এসেছি। আমাদের লক্ষ্য শীর্ষ অবস্থানে যাওয়া। এটি প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। চট্টগ্রাম বন্দর ভালোভাবে চলছে। ভাবনার কিছু নেই। চট্টগ্রাম বন্দর প্রথম অগ্রাধিকার। পর্যায়ক্রমে সব উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে।’

এর আগে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের গতিশীলতার জন্য অনেক পরিকল্পনা নিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়নে বন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ যদি সেই কাজ এগিয়ে নিতে দেখি সেটা আমাদের প্রশান্তি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাজ আমি করবো। দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে এটা মনে রাখলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে। সেই লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে। এসডিজির লক্ষ্য ২০৩০ সালের আগেই পূর্ণ করবো।’

এদিকে মতবিনিময় সভায় একাধিক সিবিএ নেতার উপস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘একটি অনুষ্ঠানে সিবিএর এত নেতা থাকতে হবে কেন। এখানে কেবল সভাপতি সাধারণ সম্পাদক থাকলেই তো হয়। তারাই সবার পক্ষে কথা বলবে। এরই মধ্যে আমার কাছে অনেক দাবি-দাওয়া দেওয়া হয়েছে। আমি সেগুলো বিবেচনা করছি।’

অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি চট্টগ্রাম বন্দর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারাই হচ্ছেন বন্দরের প্রাণ। মূল কায়িক শ্রমটা আপনারা দেন। কর্মকর্তারা আদেশ দেন, কাগজে কলমে কাজ করেন। সুতরাং আপনাদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।’

মতবিনিময় সভা শেষে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের চলমান দুটি বড় প্রকল্প পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) ও বে-টার্মিনাল ঘুরে দেখেন। এ সময় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন