বিজ্ঞাপন

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ফ্রান্স-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সতর্কতা

May 22, 2019 | 9:57 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ না করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শঙ্কা বাংলাদেশের বলে স্পিকারকে সতর্ক করেছে ফ্রান্স-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল ওবোনো। এছাড়া আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বানও জানিয়ে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রসংশাও করেছেন।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বুধবার (২২ মে) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় কালে এই সতর্কবার্তা পৌঁছে দেন ফ্রান্স বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ গ্রুপের চেয়ারম্যান।

আলোচনাকালে তারা বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

মতবিনিময়কালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বিরূপ প্রভাবের নির্মম শিকার। সরকার এ সমস্যা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস সম্প্রচার, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে যথাসময়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর, দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ, উপকূলীয় বাঁধ তৈরি, লবণাক্ত ও খরা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন, বাঁধ ও বাঁধ সংলগ্ন চর এলাকায় বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন ইত্যাদি পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নেই সমাধান করছে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন এবং এ বিষয়ে বিশেষ ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত করে।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার আরও বলেন, নতুন নতুন মাত্রার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে আরও বেশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে তিনি প্যারিস ডিক্লারেশেন অনুযায়ী বাংলাদেশকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এ সংক্রান্ত দুটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সরকার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছে। অপ্রতুল ভূমি, ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যা, জেন্ডার ইস্যু, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হয়। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বন্যা ও সাইক্লোন সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করছে। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে দুদেশের সংসদ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন