বিজ্ঞাপন

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলব

May 23, 2019 | 12:28 pm

ঢাকা: আদালতের আদেশের পরও ৫২টি মানহীন পণ্যের একটিও বাজার থেকে না সরানোয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে। নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে অপসারণে জারি করা রুল শুনানির প্রথমদিনে এই আদেশ দেন  হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

বৃস্পতিবার (২৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ১৬ জুন  তাকে  আদালতে হাজির হয়ে আদেশ বাস্তবায়ন না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন । একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন? নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আদালত

শুনানিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবী প্রতিষ্ঠানটির  জনবল সংকটের কথা বললে আদালত বলেন, আপনাদের জনবল কত? তিনি জানান, ১৭ জন। তখন আদালত বলেন, ১৭ জন মিলেও একটা মসলার প্যাকেটও অপসারণ করতে পারলেন না। আপনারা কি ভয় পান? বড় বড় ব্যবসায়ীদের ভয় পাচ্ছেন? ভয় পেলে ওই চেয়ারে বসার দরকার কি। বাসায় গিয়ে রান্নার কাজ করেন, আর তা না হলে ব্যাংকে গিয়ে কেরানীর কাজ করেন। বসে বসে টাকা গুনবেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন:    ব্যবসায়ীদের ভয় পাচ্ছেন? নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্ট

আদালতের আদেশের বিষয়ে সাংবাদিকরা অক্ষরে অক্ষরে লিখেছেন, তারপরও বলবেন আদেশ পাননি। আপনারা কি বাংলা ইংরেজি পড়তে পারেন না।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। ভোক্তা অধিকারের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি, প্রাণ এগ্রোর পক্ষে ছিলেন এম কে রহমান, এসিআইয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সান চিপসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম, বাঘাবাড়ী ঘি’র পক্ষে মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ও বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন সরকার এম আর হাসান।

বিজ্ঞাপন

পরে আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান বলেন, আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে রুল ও আদেশ ছিল, আজ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ তাদের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। এর মধ্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন দেখে আদালত উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কারণ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে ৫২ পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে ফেলা ও জব্দ করার বিষয়ে দালিলিক কোনো কাগজপত্র তারা দাখিল করতে পারেনি। এ কারণে আদালত তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। আদালত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমননার রুল জারি করেছেন। তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলেছেন। ১৬ জুন তাকে আদালতে হাজির হতে বলেছেন।

এই আইনজীবী আরও বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা আরেকটি ভিন্ন আবেদন নিয়ে গিয়েছিলাম। সে আবেদনে বিএসটিআইয়ের আরও ৯৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আবেদন করেছি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৬ জুন ৯৩টি পণ্যের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।

গত ৯ মে ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনসাস কনজুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান রিট করেন। তার আগে গত ৬ মে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ১২ মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এর আগে, বিএসটিআইয়ে পরীক্ষায় নিম্নমান প্রমাণিত হওয়া ওই ৫২ পণ্য জব্দ ও বাজার থেকে তুলে নিয়ে ধ্বংস করতে গত ১২ মে নির্দেশ দেন আদালত। সেইসঙ্গে এসব পণ্য উৎপাদন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে আদালতের এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন