বিজ্ঞাপন

নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন দলে, কাল বৈঠকে কংগ্রেস

May 24, 2019 | 4:30 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পারলেন না রাহুল গান্ধী। ২০১৪ সালের বিধ্বংসী পরাজয়ের পর নতুন উন্মাদনায় দলকে প্রচারণায় নামাতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে টক্কর দেওয়াতো দূরের কথা, নিজের পারিবারিক আসন আমেথিতেই হেরেছেন তিনি। এমতাবস্থায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে নেহরু-গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠছে। শুরু হয়েছে পদত্যাগও।

বিজ্ঞাপন

স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের জওহরলাল নেহরু। টানা তিনবার পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর তার মেয়ে ইন্দিরা গান্ধীও টানা দুইবার পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিক বিবেচনায়, দলের জন্য তেমন কিছুই করতে পারেননি রাহুল। স্বাধীনতার শুরু থেকেই নেহরু-ইন্দিরা পরিবারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু টানা দুইবার বিপুল ভোটে পরাজয়ের পর দলের নেতারা প্রশ্ন করছেন, এই পরিবারের হাতেই দলের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিৎ কিনা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, এমন সব প্রশ্নের মধ্যে শনিবার (২৫ মে) বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি। গুঞ্জন ওঠেছে সেখানেই পদত্যাগ করতে পারেন রাহুল।

গতবার সভাপতি না হলেও নির্বাচনে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল। আর এবার সভাপতি হিসেবে তিনিই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দল সাফল্য পায়নি। নিজের ‘কর্মভূমি’ আমেথিতে পরাজিত হয়েছেন তিনি। কাজে আসেনি তার চৌকিদার চোর হ্যায় স্লোগান।

বিজ্ঞাপন

এনডিটিভি জানায়, কাল সকাল ১১টায় কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। সেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং থেকে শুরু করে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত থাকবেন। অবশ্য বৈঠকের আগেই কংগ্রেসে ‘পদত্যাগ – পর্ব’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) সকালেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর। দলের সভাপতিকে চিঠি লিখে নিজের ইস্তফার কথা জানান রাজ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাকে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের।

ভোটের সম্পূর্ণ ফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই হারের জন্য দায় নেন রাহুল। সাংবাদিকরা তার পদত্যাগের বিষয়ে এক প্রশ্ন করলে উত্তর দেন, সেটা তিনি কার্যনির্বাহী কমিটিকেই জানাবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ভোটের সময় কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোনিয়া, রাহুল ছিলেন সহ সভাপতি। পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন দুজনেই। সেবার ৪৪ টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। তবে সেসময় নেহরু–গান্ধী পরিবাররে প্রতি সদা অনুগত কংগ্রেস দু’জনকেই পদে থেকে যেতে অনুরোধ করে। তবে এবার নেতৃত্বের ৭প্রতি ক্ষোভ কিছুটা বেশি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন