বিজ্ঞাপন

‘মুখে বললাম আর হঠাৎ র‌্যাংকিংয়ে এটা কল্পনা করা যায় না’

May 25, 2019 | 8:54 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, শুধু মুখে বললাম আর হঠাৎ করে র‌্যাংকিংয়ে এটা কল্পনা করা যায় না।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৫ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলানায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় উদ্ধোধনী বক্তব্য রাখেন উপাচার্য।

সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই সেমিনারের আয়োজন করে। উপাচার্য এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মূল বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও ঢাবি সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু ইউসুফ।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমসহ অনেকে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, বিভিন্ন জাতিসত্ত্বা, বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের ক্যাম্পাস আর হোমোজিনিয়াস বৈশিষ্ট্যের একটি ক্যাম্পাস এক হবে কি না কখনো? এইগুলো আমাদের চিন্তার জগতে নিতে হবে। শুধু মুখে বললাম আর হঠাৎ করে র‌্যাংকিং এবং গুণগত মান, এগুলো কল্পনা করা যায় না।

তিনি বলেন, আমাদের ভাবতে হবে কতজন বিদেশি ছাত্রকে আমরা আহ্বান জানাই। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে আমরা যখন সমঝোতা স্মারক সই করি তখন প্রথমেই আমরা বলি আমাদের যে ফ্যাকাল্টি পাঠাব তাকে কত স্কলারশিপ দেবে, আমাদের এখান থেকে ক’জনকে বলতে পারি তোমাদের দেশ থেকে একজন আসো? তখন আমর বলি একটু লোকাল হসপিটালিটি দিতে পারি কি না দেখি। কিন্তু এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা আমাদের খুবই প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দাওয়াত দেওয়া হলো, তার সঙ্গে আরও দু’জন অধ্যাপককে দাওয়াত দেওয়া হলো। সেখানে আরও ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের ডাকা হলো। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হলো নারা উইমেনস ইউনিভার্সিটি। আমাদের পেছনে কত ইনভেস্টমেন্ট তাদের। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আতিথেয়তায় সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। এই ধরনের একটি ইন্টারন্যাশনালাইজেশন তারা সেখানে রাখল। আজকে আমরা এখানে বসে নারা উইমেনস ইউনিভার্সিটির নাম উচ্চারণ করলাম। কারণ সেখানে আমন্ত্রিত হয়েছিলাম।

বলুন তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন আয়োজনে, কোন গবেষণা কর্মে বাহিরের দু’জন মানুষকে আনতে পেরেছে সমাবর্তনে ছাড়া? কনভোকেশনে স্পিকার আনার সময় আমাদের খুঁজতে হয় কোন স্পিকার সাধারণত কোনো বার্গেনিংয়ে যাবে না। এসব কিছুর পেছনে কোনো না কোনো ধরনের তাৎপর্য রয়েছে, বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, বাজেটে একটা নতুন ট্রেন্ড শুরু করব। যেহেতু আমরা বলছি, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। সুতরাং বিদেশিদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বাড়াতে হবে। শুধু চা-চক্রে, কাগজে কিংবা উপাচার্য বাসভবনে একটি দিনের আলোচনার মধ্যে নয়। ক্যাম্পাসে শরীরে একটি মিথস্ক্রিয়া হবে। এগুলো আমদের বিবেচনা করতে হবে।

চলতি বছর থেকে ২০ জন করে বিদেশি ছাত্র ভর্তির ব্যাপারে সরকারের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে লাগবে। এর একটি বেনিফিট কোনো না কোনোভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বর্তাবে।

বিজ্ঞাপন

মূল বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য আমাদের ন্যাশন্যাল কমিটমেন্ট কম না। ইউজিসি থেকে কোয়ালিটি হায়ার এডুকেশন বাড়ানোর প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, আওয়ামী লীগের মেনিফেস্টোতে বলা হয়েছে, সর্বত্রই বলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ভালো না কি মন্দ তা নির্ভর করে কত ভালো শিক্ষক তৈরি করতে পারছি আমরা। ভালো শিক্ষক তৈরি করতে পারলে ভালো শিক্ষা দেবেন তারা। ইউনিভার্সিটি এডুকেশন নিডবেস করতে হবে। তিনি শিক্ষার জন্য আলাদা বাজেট করার প্রস্তাব রাখেন।

সারাবাংলা/কেকে/এটি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন