বিজ্ঞাপন

ব্রেক্সিট নিয়ে মে’র উত্তরসূরীদের ‘বিরোধ’

May 26, 2019 | 10:58 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

একে অন্যের বিরোধিতায় জড়িয়ে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে নামা কনজারভেটিভ প্রার্থীরা। ব্রেক্সিট নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র মতভেদ। কেউ অন্যের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন না। এ অবস্থায় তীব্র অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশটির রাজনৈতিক মহলে। খবর বিবিসির।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন টেরিজা মে। তার এই  ঘোষণার পর থেকেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে, উত্তরসূরী হিসেবে কে ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে হ্যানকক, স্টুয়ার্ট ও জনসনের পাশাপাশি সাবেক ওয়ার্ক ও পেনশন সেক্রেটারি ইস্টার ম্যাকভে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, সাবেক ব্রেক্সিট সেক্রেটারি ডমিনিকা রাব ও গ্রুভসহ বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে আলোচনায়।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা আশা করছেন, আসছে জুলাইয়ের আগেই তারা নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারবেন। তবে আলোচনায় থাকা টোরি নেতাদের ব্রেক্সিট নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য বলে দিচ্ছে, সামনের দিনগুলো তাদের জন্য সহজেই সুখকর হচ্ছে না।

যুক্তরাজ্যের সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ররি স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের অধীনে কাজ করবেন না তিনি। কারণ, জনসন চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সমর্থক। যদিও নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য জনসনের নাম রয়েছে বেশ আলোচনায়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, টেরিজা মে’র উত্তরাধিকারী যদি পার্লামেন্টে চুক্তি পাস করাতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই বাণিজ্য ইস্যুতে আরও পরিষ্কার অবস্থান নিতে হবে।

শুক্রবার (২৬ মে) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন হ্যানকক। এসময় তিনি জানান, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে আগাম নির্বাচন ডাকা বিপর্যয়কর হবে। এতে ক্রিস্টমাসের মধ্যে ক্ষমতা বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এমন একজন নেতা দরকার যিনি কেবল এখন নয়, ভবিষ্যতেও দলকে নেতৃত্ব দেবেন। নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারবেন। গত তিন বছরের ভয়াবহ রাজনীতি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। নতুন করে শুরু করতে হবে। নতুন মুখ দিয়ে শুরু করতে হবে। যাতে করে এই দেশ আগামী বছরে আসন্ন যুদ্ধে জয়ী হতে পারে ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, রাজনীতিবিদদের ব্রেক্সিট নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান পরিষ্কার করতে আহ্বান জানিয়েছেন স্টুয়ার্ট। জনসনকে সমর্থন না জানানোর পেছনের কারণ নিয়ে তিনি বলেন, জনসনের অনেক গুণ রয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন আগে আমার সাথে তার কথা হয়। তখন আমার মনে হয়েছিল, তিনি চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে। কিন্তু এখন তিনি জানাচ্ছেন, তিনি চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পক্ষে।

সারাবাংলা/আরএ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন