বিজ্ঞাপন

অভিনেত্রী নওশাবার উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানির নির্দেশ

May 28, 2019 | 2:31 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ফেসবুক লাইভে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৪ জুলাই তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ক শুনানির জন্য দিন ঠিক ছিল। কিন্তু এদিন নওশাবার আইনজীবী শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ দিদার হোসাইন এ আদেশ দেন।

শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল হয়েছে সেই বিষয়ে তিনি জানতেন না। এছাড়াও আগের আদেশ আছে যে, আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিতে পারবেন। তাই মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত না হয়েও অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক আগের ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২০৫ ধারা (ম্যাজিস্ট্রেট আসামির ব্যাক্তিগত হাজিরার থেকে রেহাই) এর আদেশ বাতিল করেন। একই সঙ্গে নির্ধারিত তারিখে আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন করে এ দিন ঠিক করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের পুলিশ পরিদর্শক শওকত আলী সরকার এ চার্জশিট দাখিল করেন।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অন্যপক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভে আসেন নওশাবা। ফেসবুক লাইভে তিনি জানান, জিগাতলায় চারজনকে মেরে ফেলা হয়েছে, একজনের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। ওই সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওইদিন জিগাতলায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

কাজী নওশাবা ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনোর জন্য মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং প্রচার করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ (সংশোধনী) এর ৫৭ (২) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

ওই ঘটনায় ‌র‌্যাব-১ এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সালের ৫৭ (২) ধারায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে গত বছরের ৪ আগস্ট রাতে উত্তরা থেকে নওশাবা আহমেদকে আটক করে র‌্যাব। এরপর ২১ আগস্ট পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় নওশাবাকে জামিনে মুক্তি পান।

সারাবাংলা/এআই/জেডএফ 

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন