বিজ্ঞাপন

ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পিছিয়ে ৩০ জুলাই

May 29, 2019 | 3:26 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালকের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩০ জুলাই নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের (৬৯) বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বুধবার (২৯ মে) সময় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সুলতান মাহমুদ সীমন। তাকে সহযোগিতা করেন রেজিয়া সুলতানা চমন ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী। অন্যদিকে ওয়াহিদুল হকের পক্ষে ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুর রহমান।

প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী সারাবাংলাকে জানান, হত্যা, গণহত্যা, ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক ছিল আজ। আসামিপক্ষ সময় চেয়ে আবেদন করায় আদালত নতুন দিন ঠিক করে আদেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি গতকাল (মঙ্গলবার) শেষ হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার সময়ের আবেদন করলে শুনানির জন্য আদালত আজকের দিন ঠিক করেন। আজ শুনানিতে ওয়াহিদুল হকের পক্ষে নতুন নিয়োগ পাওয়া আরেক আইনজীবী মিজানুর রহমান মামলার প্রস্তুতির জন্য ফের সময় চেয়ে আবেদন করেন।

এক নজরে মামলার অগ্রগতি

এর আগে গত ৪ মার্চ এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৫ মার্চ দিন ঠিক করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে।

গত বছরের ৩০ অক্টোবর আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রসিকিউশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে প্রসিকিউশন পক্ষ তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত শেষ হয়। এ মামলায় মোট ৫৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

গত বছরের ২৪ এপ্রিল সকালে আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওয়াহিদুল হককে তার বারিধারার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পরদিন (২৫ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারপতি আমির হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আসামি ওয়াহিদুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

তদন্ত প্রতিবেদন

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে অভিযুক্ত ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুল হক রংপুর ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৯ ক্যাভেলরি রেজিমেন্টের অ্যাডজুটেন্ট এর দায়িত্বে ছিলেন। ওই বছরের ২৮ মার্চ আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি সেনানিবাসের পাশে চারটি সামরিক জিপে মেশিনগান লাগিয়ে গুলি করে গণহত্যা চালান। এতে ৫শ’ থেকে ৬শ’ স্বাধীনতাকামী বাঙালি নিহত হন এবং অসংখ্য মানুষ গুরুতর আহত হন। সেই সময় তার নেতৃত্বে স্থানীয়দের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে গণহত্যার শিকার বাঙালিদের মরদেহে পেট্রোল ঢেলে পোড়ানোর পরে ধ্বংসাবশেষ কয়েকটি গর্ত করে পুঁতে ফেলা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/এটি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন