বিজ্ঞাপন

বাবার অনুপস্থিতি অনুভব করেন ক্যাটরিনা কাইফ

June 1, 2019 | 7:41 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

মেয়ের কাছে বাবা যেনো ইহ জগতের মহানায়ক। মেয়ের মনে মায়ের থেকে বাবার জায়গা কিছুটা হলেও বেশি থাকে। এটা চিরন্তন একটি সত্য বচন। কিন্তু জগতের এমন অনেক মেয়ে আছে যারা ছোটবেলা থেকে বাবার সান্নিধ্য পায়নি। বেড়ে ওঠেনি বাবার ভালোবাসায়। মায়ের কাছেই বড় হতে হয়েছে। বলিউড তারকা ক্যাটরিনা কাইফ সেই সব মেয়েদের একজন।

বিজ্ঞাপন

ক্যাটরিনার শৈশবেই দেখেছেন বাবা–মায়ের বিচ্ছেদ। তারপর আর বাবাকে কাছে পাওয়া হয়নি তার। মায়ের আঁচল তলেই খুঁজেছেন বাবার ভালোবাসা। কিন্তু তাতে কি আর বাবার ভালোবাসা পূরণ হয়! তাই তো ক্যাটরিনা ছোট থেকে বড় হওয়া অব্দি বাবার শূণ্যতা অনুভব করেছেন। ফিল্মফেয়ারে দেখা এক সাক্ষাৎকারে তিনি মনের কথা বলতে গিয়ে বাবার প্রসঙ্গ টানেন। এসময় তিনি তার বেড়ে ওঠার পেছনে মায়ের অদম্য সাহসিকতার প্রশংসা করেন।

ক্যাটরিনা বলেন, জীবন চলার পথে পাশে পিতৃস্থানীয় কেউ না থাকলে প্রতিটি মেয়েরই শূন্যতা অনুভব হয়। আমি চাই ভবিষ্যতে আমার সন্তানেরা যেন বাবা-মা দুজনকেই একসঙ্গে পায়। যতবার আমি কোনও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি আমার মনে হয়েছে বাবার মতো কেউ, যিনি নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে পারবেন তেমন কেউ পাশে থাকলে হয়তো সমস্যার সমাধান হতো।

এই কারণে তিনি কী জীবনে কোনও শক্ত ধাঁচের পুরুষকে সঙ্গী হিসাবে পেতে চান কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না তেমন কোনও চেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করছি। তবে লোকে বলে সত্যিকারের বন্ধুর সংখ্যা যদি আঙুলে গোনা যায় তাহলে সেই ব্যক্তি ভাগ্যবান হয়। আমার বিশ্বস্ত বন্ধুরা আমাকে ভালোভাবেই চেনে। তারা জানে, আমি কোথা থেকে এসেছি! তবে বাবা–মায়ের বিচ্ছেদ একটা বড় প্রভাব ফেলে ঠিকই। আমার মাকে একা একাই সাতটি মেয়ে ও এক ছেলেকে বড় করেছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ক্যাটরিনা কাইফের বাবা মোহাম্মদ কাইফ একজন ভারতীয় নাগরিক। আর মা সুজানা টার্কুট ইংরেজ। ক্যাটরিনা কাইফের জন্ম হয় হংকংয়ে। ক্যাটরিনার ৮ বছর বয়সে তার পরিবার হংকং থেকে চীনে স্থানান্তরিত হন। এরপর সুইজারল্যান্ড, ক্রাকোউ, বার্লিন, বেলজিয়ামসহ পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশে যান।

এ সময় ওই দেশগুলোর প্রতিটিতে মাত্র কয়েক মাস করে অবস্থান করেছেন ক্যাটরিনা। হাওয়াই থেকে শেষ পর্যন্ত তার মায়ের জন্মভূমি ইংল্যান্ডে অবস্থান করেন। ব্যাপকভাবে লোকেরা যখন জানতে পারেন কাইফ লন্ডনের মেয়ে, চূড়ান্তভাবে তখন তিনি বছর তিনেক  থেকেই মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন।

সারাবাংলা/আরএসও/

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন