বিজ্ঞাপন

৫ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮৯০ জনের মৃত্যু, আহত ৩৫৪৩

June 2, 2019 | 8:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সারাদেশে ১ হাজার ৭৯২টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাজার ৮৯০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৩ জন। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৩১২ শিশু, ২৪২ জন নারী।

বিজ্ঞাপন

বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির (এনসিপিএসআরআর) নিয়মিত মাসিক জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়ক, আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কসহ সারাদেশে সংঘটিত দুর্ঘটনার তথ্য সংকলন করা হয়েছে।

রোববার (২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে এনসিপিএসআরআর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ২২টি বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে ৩৮৩টি দুর্ঘটনায় ৫৩ নারী ও ৭১ শিশুসহ ৪১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৭২৫ জন। ফেব্রুয়ারিতে ৪০১টি দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৪১৫, আহত ৮৮৪ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৫৮ জন, শিশু ৬২টি। মার্চে ৩৮৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ নারী ও ৮২ শিশুসহ ৩৮৬ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ৮২০ জন। পরের মাস এপ্রিলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৩২৭টি। এতে ৩৮ নালী ও ৫৩ শিশুসহ মৃত্যু হয় ৩৪০ জনের, আহত হন ৬১০ জন। আর সবশেষ গত মে মাসে ২৯৭টি দুর্ঘটনায় ৪৭ নারী ও ৪৪ শিশুসহ ৩৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫০৪ জন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কমেছে। তবে একমাসের তথ্যে দুর্ঘটনা-পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা যাবে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

জাতীয় কমিটির পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য যে ১০টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। কারণগুলো হলো— চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো; দৈনিক-চুক্তিতে চালক, কন্ডাক্টর বা হেল্পারের কাছে গাড়ি ভাড়া দেওয়া; অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ; সড়কে চলাচলে পথচারীদের অসতর্কতা; বিধি লঙ্ঘন করে ওভারলোডিং ও ওভারটেকিং; দীর্ঘক্ষণ বিরামহীনভাবে গাড়ি চালানো; ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব; জনবহুল এলাকাসহ দূরপাল্লার সড়কে ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা; সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি; এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র যানবাহনে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, শুধু কঠোর আইন প্রণয়ন করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব না। এজন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সড়ক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ যেমন দরকার, তেমনি আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন