বিজ্ঞাপন

ঈদে লাগামহীন মাংসের দর

June 4, 2019 | 8:16 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নিয়ন্ত্রণ নেই রাজধানীর মাংসের বাজারে। সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্য অমান্য করে নিজেদের ইচ্ছেমতো মাংসের দাম ঠিক করেছেন তারা।  মঙ্গলবার (৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নানা দামে মাংস বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরু ও মুরগিসহ সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে। গরু কেজিতে ৭০০ ও খাসি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। পোল্ট্রি মুরগিরও দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত ৩০ টাকা, আর দেশি মুরগির দামও আকাশচুম্বি।

সূত্রাপুরে গরুর মাংস আজ দুপুর পর্যন্ত সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। নাখালপাড়ার একাধিক মাংসের দোকানেও এই দামে মাংসে বিক্রি হতে দেখা যায়। অন্যদিকে, বউবাজারের সবগুলো মাংসের দোকানে গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগদা বাজারে পুরো রমজানে ৫২৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকায়।

দোকানিরা বলছেন, ঈদের কারণেই মাংসের দাম কেজিতে অন্তত ৫০ টাকা বেড়েছে। মাংস বিক্রেতা আমিন বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে গরুর দাম বাড়ার কারণে মাংসের দাম বেশি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

বিজ্ঞাপন

কারওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের মাংস ব্যবসায়ী লোকমান জানান, ঈদে সব সময় গরুর মাংসের দাম বেশি থাকে। তাই এবারও একটু বেশি। রোজার শেষ দিকে এসে সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন এখানকার কয়েকজন বিক্রেতা।

তবে দাম বাড়লেও মাংসের সব দোকানেই রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কোনো কোনো দোকানে ক্রেতাদের লাইন ধরেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাংস কিনতে আসা আরজতপাড়ার বাসিন্দা সজিব বলেন, ‘দাম বেশি হলেও তো করার কিছু নেই। ভিড় ঠেলেই কিনতে হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

গরুর মাংস ছাড়াও মুরগির বাজারে পোল্ট্রি ১৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা ও পাকিস্তানি কক ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সততা মুরগির আড়তের বিক্রেতা সুমন বলেন, ‘ঈদে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। মুরগির দাম প্রকারভেদে কেজিতে বেড়েছে অন্তত ৩০ টাকা।’

এর আগে, রমজান মাস শুরুর আগের দিন ৬ মে পুরো নগরের জন্য মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। তখন প্রতি কেজি দেশি গরুর মাংসের দাম ৫২৫, বিদেশি গরু ৫০০, মহিষ ৪৮০, খাসি ৭৫০, ভেড়া বা ছাগী ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও (ডিএনসিসি) একই দাম নির্ধারণ করে।

এরপর গত শুক্রবার (৩১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীতে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্যে আর মাংস বিক্রি না করার ঘোষণা দেন মাংস ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম জানান, সিটি করপোরেশনের অসহযোগিতার কারণেই নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি আর সম্ভব হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, মাংসের মসলার দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, মসলার দাম তেমন একটা বাড়েনি। বাজারে এলাচি ২ হাজার ৬০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ২০০, জিরা ৩৬০ টাকা, কিসমিচ ২৯০ টাকা, গোলমরিচ ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের মায়ের দোয়া স্টোরের কর্মচারী বাবলু বলেন, ‘মসলার দাম আগের মতোই রয়েছে।’ একই কথা জানান মহাখালীর বউবাজারের আরেক বিক্রেতা। তিনি বলেন, ‘এই ঈদে মসলার চাহিদা কম, তাই দাম বাড়েনি।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন