বিজ্ঞাপন

নৌবাহিনীর বার্ষিক মহড়ায় সফল মিসাইল উৎক্ষেপণ

January 31, 2018 | 9:05 pm

তুহিন সাইফুল

বিজ্ঞাপন

বঙ্গোপসাগরে সফল মিসাইল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক সমুদ্র মহড়া সমাপ্ত হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ দিনের এই মহড়া বুধবার শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। অন্যান্য উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

যুদ্ধজাহাজ বানৌজা বঙ্গবন্ধু থেকে স্বস্ত্রীক মহড়া পরিদর্শন শেষে তারিক আহমেদ সিদ্দিক তার বক্তব্যে নৌবাহিনীর সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান এবং তাদের পেশাগত মান ও কর্ম-দক্ষতার প্রশংসা করেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিশাল সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ সমুদ্র সম্পদের হেফাজতে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। আর এ সকল দায়িত্ব পালনে তিনি নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আগে নৌবাহিনীকে উপেক্ষা করা হতো। এখন সেটা করা হচ্ছে না। আগের নৌবাহিনী আর এখনকার নৌবাহিনীর পার্থক্য অনেক। তারা এখন অনেক শাক্তিশালী অনেক সক্ষম।

এসময় জাহাজে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের নানা প্রশ্নেরও জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জীবনের ওপর হুমকি আছে এটা ঠিক। উনার বিরোধীদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে তাকে শেষ করে দেওয়া। যারা উনাকে চায় না তাদের একটাই লক্ষ্য উনাকে শেষ করে দেওয়া। তা নাহলে তাকে থামানো যাচ্ছে না। এখানে বিদেশি শক্তিও আছে। উনি শুধু দোয়া করেন, আল্লাহ আমাকে মারলে মারবেন, কিন্তু আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের যেন কোনো ক্ষতি না হয়।

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘ ১৮ দিনব্যাপী এ মহড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর, ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোলক্রাফট, মিসাইল বোটসহ বিভিন্ন ধরনের ৫০টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নেয়। এছাড়া বিশেষ নৌ কমান্ডো দল সোয়াডস এবং নেভাল অ্যাভিয়েশনের মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট ও হেলিকপ্টার অংশ নেয়।

মোট তিনটি ধাপে এ মহড়ার অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত দিনে দূরপাল্লার মিসাইল উৎক্ষেপণ, সাবমেরিন বিধ্বংসী গোলা নিক্ষেপ, বিমান বিধ্বংসী কামানের গোলাবর্ষণ করাসহ নৌ যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল প্রদর্শিত হয়।

মহড়ার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে সমুদ্র এলাকায় নজরদারি, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, লজিস্টিক অপারেশন, ল্যান্ডিং অপারেশন ও উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত নৌ স্থাপনাসমূহের প্রতিরক্ষা ইত্যাদি মহড়া পরিচালিত হয়।

এবারের মহড়ার মূল প্রতিপাদ্য ছিল বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ সমুদ্র সম্পদের হেফাজত, মানবপাচার ও চোরাচালান রোধ, জেলেদের নিরাপত্তা বিধান, উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ইত্যাদি।

বিজ্ঞাপন

ছবি: তুহিন সাইফুল

সারাবাংলা/এনএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন