বিজ্ঞাপন

অর্থ আত্মসাতের মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ

June 17, 2019 | 7:14 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ফেনী: ব্যাংকের চেক প্রতারণার মাধ্যমে এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে আসামী সিরাজ উদ দৌলাকে যুগ্ম জেলা দায়রা জজ অসীম কুমার দে’র প্রথম আদালতে হাজির করা হয়।

আরও পড়ুন- নুসরাতকে যৌন হয়রানির মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ ফের রিমান্ডে

উম্মুল কোরা ডেভেলপার লি. নামে একটি আবাসন ও উম্মুল কোরা ক্যাডেট মাদরাসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় সিরাজ প্রতিষ্ঠানটির ১০৯ জন সদস্যের নামে থাকা ওই টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন আব্দুল কাইয়ুম নিশান।

বিজ্ঞাপন

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি শাহ মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম জানান, আজ বাদীপক্ষের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। জেরার জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা এই মামলায় আসামির শাস্তি প্রার্থনা করেছি।

আরও পড়ুন- নুসরাত হত্যা: অধ্যক্ষ সিরাজসহ ২ শিক্ষকের এমপিও স্থগিত

উম্মুল কোরা ডেভেলপার লিমিটেডের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাওলানা আব্দুল মালেক বলেন, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ১০৯ জনের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ একা হাতিয়ে নেন সিরাজ। কোম্পানির সম্পত্তি বিক্রিতে লেনদেনের সুবিধায় চেয়ারম্যান সিরাজ উদ দৌলাকে একক ক্ষমতার অধিকার দেওয়া হয়। সেই সুযোগ নিয়েই সিরাজ কৌশলে পুরো টাকা হাতিয়ে নেন।

বিজ্ঞাপন

মাওলানা আব্দুল মালেক আরও বলেন, সদস্যরা টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিলে ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট সিরাজ একটি চেক দেন। একই মাসের ২৭ তারিখে চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়। ৩০ আগস্ট তাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৮ সালে এই মামলায় ২১ দিন জেলও খাটেন সিরাজ উদ দৌলা।

আরও পড়ুন- ঘরে তালা, লাপাত্তা অধ্যক্ষ সিরাজের পরিবার

মামলার বাদী আব্দুল কাইয়ুম নিশান জানান, প্রতিষ্ঠানটির অধীনে থাকা উম্মুল কোরান মাদরাসা ভবনটি সে বছর রাজু, সোহাগ, নয়ন ও মতুর্জা নামে কয়েক সন্ত্রাসীর সহায়তায় সিরাজ উদ দৌলা দখল করে নেন। মাদরাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস বিক্রির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া ফেনীর মহিপাল এলাকায় কোম্পানির নামে থাকা সাড়ে ১৬ শতাংশ জমিও নিজের নামে করে নেন তিনি। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ফেনীর পাঠান বাড়ির মোড় এলাকায় উসমান ফার্নিচার নামে জমির দখল দেন অধ্যক্ষ সিরাজ। এই কাজে তাকে ভ্যান নয়ন নামে একজন সহায়তা করেন। উম্মুল কোরা ডেভেলপারের অধীনে থাকা এসব সম্পত্তি বেহাত করে সব টাকা নিজের নামে ব্যাংকে জমা করেন সিরাজ উদ দৌলা। আর কোম্পানির সাধারণ সদস্যদের টাকা আত্মসাৎ করে ফেনীর পাঠান বাড়ির মোড়ে গড়ে তোলেন আলিশান বাড়ি ‘ফেরদৌসী মঞ্জিল’।

আরও পড়ুন- জেল থেকেই নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ সিরাজ

বিজ্ঞাপন

এদিকে, এই অধ্যক্ষ সিরাজই তার মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ আটক করে তাকে। হাজতে থেকেই তিনি নুসরাতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। নুসরাতের পরিবার তাতে রাজি না হলে সহযোগীদের দিয়ে নুসরাতের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে নুসরাত গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা যান।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন