বিজ্ঞাপন

ফলে রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

June 18, 2019 | 12:10 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আমসহ মৌসুমী ফলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয় কি না, তা তদারকিতে অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থাকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ধরনের অভিযান সারাবছরই অব্যাহত রাখার নির্দেশও হাইকোর্ট দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৮ জুন) আমে রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ে বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে অসন্তোষ জানিয়ে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন- কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ১ হাজার ১০০ মণ আম ধ্বংস

শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, আমসহ বিভিন্ন ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহারের কারণে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই আগামী প্রজন্মের স্বার্থে এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে। কারও পক্ষে নমনীয় অবস্থান নেওয়া যাবে না।

বিজ্ঞাপন

আদালত বলেন, বিএসটিআই ঠিকভাবে কাজ করলে দেশের অবস্থা এরকম হতো না। বাংলাদেশে এখন স্বাস্থ্যের কোনো নিরাপত্তা নেই। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ভালোভাবে বাঁচার উপায়টুকু নেই।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ, বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন সরকার এম আর হাসান মামুন।

আরও পড়ুন- যাত্রাবাড়ীতে হাজার মণ আম ধ্বংস করল র‌্যাব

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ২০ মে আমসহ অন্যান্য ফল পাকানো বা সংরক্ষণে ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ ঠেকাতে দেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোকে নজরদারি করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে পুলিশ প্রধান, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের কেমিকেল টেস্টিং উইংয়ের পরিচালককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

ওই আদেশ বাস্তবায়ন করে আজ ১৮ জুন আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। আজ সেই প্রতিবেদন জমা দেয় বিএসটিআই। তাতে অসন্তোষ জানিয়েছেন আদালত।

ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো ও ফল সংরক্ষণে এর ব্যবহার বন্ধে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। মনজিল মোরসেদ বলেন, এ বিষয়ে রিট পিটিশনের শুনানির পর ২০১২ সালে রায় হয়েছিল। এরপর থেকে মামলাটি চলমান আছে।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

ধ্বংস নয়, আম নিয়ে শিগগিরই বৈঠক

প্রতিশ্রুতির পরও বাজারে অপরিপক্ব আম, ৪০০ মণ ধ্বংস

মিরপুরে ২ হাজার কেজি অপরিপক্ক আম ধ্বংস, ৬ লাখ টাকা জরিমানা

সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন