বিজ্ঞাপন

‘জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক— প্রমাণ দিতে পারলে পদত্যাগ করব’

June 18, 2019 | 7:14 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন— বিএনপির সংসদ সদস্যদের এমন প্রমাণ হাজির করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে ফের বির্তক শুরু করেছে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা। কিন্তু জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন—  এরকম কোনো প্রমাণ যদি ওই সদস্যরা এই সংসদে হাজির করতে পারেন, তাহলে আমি এই  সংসদ থেকে পদত্যাগ করব।

আরও পড়ুন- ‘নেতাগিরি করতে হলে দেশে আসতে বলেন, কোর্ট ফেস করতে বলেন’

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বগুড়া-১ আসনের সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ ও সংরক্ষিত আসনে দলটি থেকে নির্বাচিত ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সংসদে অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে অভিহিত করেন। এ প্রসঙ্গে সংসদে উত্তপ্ত আলোচনাও হয়েছে।

বিএনপির সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যের জের ধরে আব্দুল মান্নান বলেন, এবারের সংসদে আরেকটি বিরোধী দল যুক্ত হয়েছে। বিএনপির ছয় জন সংসদ সদস্য আছেন। তাদের যিনিই কথা বলছেন, সবাই শুরুটাই করেছেন স্বাধীনতার ঘোষক একজন ব্যক্তির নাম নিয়ে। বলা হচ্ছে, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন।

আব্দুল মান্নান বলেন, কিন্তু দেশ স্বাধীন হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, বঙ্গবন্ধুর ঘোষণায়। জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন— এরকম কোনো প্রমাণ যদি ওই সদস্যরা এই সংসদে হাজির করতে পারেন, এই  সংসদ থেকে আমি পদত্যাগ করব।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, উনারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চান। মুক্তি চাইতেই পারেন। কী কারণে তিনি জেলে গেছেন, সে কথা দেশের সবাই জানে। এই নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি হবে না। এই নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি টিকে থাকবে না। এগুলো বদলান। যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারেন; মানুষের বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে— সেরকম কাউকে দিয়ে যদি দল পুনর্গঠন করা চেষ্টা করেন, তাহলে আগামীতে টিকে থাকার পথ খুঁজে পাবেন।

বগুড়া-১ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, জিয়া যুদ্ধ করলেন। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিলো। দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারালেন। স্বামী যুদ্ধ করছে মাঠে, আর তার স্ত্রী কোথায়? যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি, উনি সেই ক্যান্টমেন্টে ৯ মাস কিভাবে থাকলেন? জিয়া তাকে আনতে লোক পাঠালেন, উনি বললেন ভালো আছেন। কিভাবে তিনি ভালো থাকলেন, সেটা এই দেশের মানুষের জানা দরকার। এই দেশে যুদ্ধে যেসব মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন, তাদের বীরাঙ্গনা বলা হয়। দুর্ভাগ্যবশত খালেদা জিয়াকে কী নামে ডাকবে, সেটা দেশের মানুষ আজ পর্যন্ত জানল না।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন