বিজ্ঞাপন

‘বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, সিদ্ধান্ত আগামী বৈঠকে’

June 19, 2019 | 6:17 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দলের পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দলের কারও কারও মধ্যে শৃঙ্খলাবিচ্যুতি নিয়ে আমাদের নেত্রীর (আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা) সঙ্গে আলোচনা করেছি। ওয়ার্কিং কমিটির নেক্সট মিটিংয়ে আমরা শৃঙ্খলার বিষয়ে আরও কঠোর হব। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব— নেত্রী এমন আভাস দিয়েছেন। নেক্সট ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় সংগঠন, বড় পরিবার। এখানে সবসময় সবকিছু শৃঙ্খলার মধ্যে হবে— এমনটা সব ক্ষেত্রে আশা করা যায় না। তবে আমরা জাতীয় নির্বাচিনে বিরল দৃষ্টান্ত রেখেছি। শেষ পর্যন্ত মাত্র দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে ছিলেন। আরও কয়েকজন বিদ্রোহী ছিলেন, কিন্তু নির্বাচনের আগেই তারা নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

কাদের বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে এখনো কিছু কিছু কলহ-কোন্দল আছে। তবে গতকাল যে উপজেলা নির্বাচন হয়েছে, এই নির্বাচনে কিন্তু ছয় জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হয়েছিল। কাজেই এখানে অর্ধেকই বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছে— এ কথা বলার কোনো কারণ নেই।

নেতাকর্মীদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান থেকে শুরু করে কলহ-কোন্দলের কারণ খুঁজে বের করে দূর করার আহ্বান জানান ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, কমিটি করতে গিয়ে দলের লোক খুঁজবেন। কেউ নিজের থাকবে না। সবাই আওয়ামী লীগের, সবাই শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবে, আওয়ামী লীগের আদর্শের সঙ্গে থাকবে। কেউ নিজের লোক খুঁজবেন না। এই নিজের লোক কখনো চিরস্থায়ী হয় না, তাই দলের জন্য লোক তৈরি করেন।

দলের কোনো পর্যায়ের দায়িত্বে থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেই কেবল সবাই সম্মান করবে; অন্যদিকে দলের মধ্যে উপদল তৈরি করলে, বিভাজন তৈরি করলে কেউ সম্মান দেবে না— বলেন ওবায়দুল কাদের। এ ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তারই কন্যা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই সহযোগী সংগঠনগুলোর যেগুলোর মেয়াদ নেই, সেগুলোকে সম্মেলন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গঠনতান্ত্রিকভাবে যেসব সহযোগী সংগঠনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের এরই মধ্যে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। শুধু সহযোগী সংগঠন নয়, আওয়ামী লীগেরও যেসব জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা শাখার কমিটির মেয়াদ নেই, জাতীয় সম্মেলনের আগেই সেগুলোকেও সম্মেলন শেষ করার জন্য আমরা কেন্দ্র থেকে সাকুর্লার দিয়ে নির্দেশনা পাঠিয়েছি।

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর উত্তরের সহসভাপতি শেখ বজলুর রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, কাদের খান, কোষাধক্ষ্য ওয়াকিল উদ্দিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গোলাম মোস্তফা, ডেইজি সারোয়ারসহ থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা। সভা পরিচালনা করেন সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুল হক রানা।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন