June 24, 2019 | 1:33 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট
সাত বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন প্রযোজক সমিতির নির্বাচন। আগামী ২৭ জুলাই নির্বাচন সামনে রেখে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চলতি মাসের ১৭ জুন থেকে শুরু হয়েছিল মনোনয়পত্র সংগ্রহের কাজ এবং শেষ হয় ২০ জুন। সংগৃহীত মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৭ জুন। সারাবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশেক সমিতির অফিস সহকারি সৌমেন রায় বাবু।
দীর্ঘদিন পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সভাপতি পদপ্রার্থী খোরশেদ আলম খসরু। তিনি বলেন, জটিলতা কাটিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াকে সাধুবাদ জানাই। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে প্রযোজক সমিতির এই নির্বাচন খুব প্রয়োজন ছিল। এবার নির্বাচনে আমি সভাপতি পদে নির্বাচন করছি। জয়ী হতে পারলে সবাইকে সাথে নিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করব।
এবার নির্বাচনে কোনো প্যানেল থাকছে না। যে যার মতো স্বকীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এ প্রসঙ্গে খসরু বলেন, এবার নির্বাচনে কোনো প্যানেল থাকছে না। প্রার্থীরা এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। যারা জয়লাভ করবেন তারাই প্রযোজক সমিতির নেতৃত্ব দেবেন।
প্রযোজক নেতা নাসির উদ্দিন দিলু বলেন, শুনেছি নির্বাচনে প্যানেল হবে না। তবে যদি প্রার্থীদের মধ্যে কেউ সমমনা হন তাহলে হয়ত তারা এক হয়ে নির্বাচন করতে পারেন। তবে যারাই জয়ী হোক তাদের উচিত হবে চলচ্চিত্রের স্বার্থে কাজ করা। এখন চলচ্চিত্র যে সময় পার করছে তা থেকে দ্রুত উত্তরণে প্রযোজক সমিতির ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রয়োজন সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ত্ব পালন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণায়লয়ের উপসচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল। তার সহযোগী হিসেবে আছেন মো.জালাল উদ্দিন। তিনিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব। অন্য সদস্য হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারি প্রোগ্রামার মো.খাদেমুল ইসলাম।
এর আগে ২০১৬ সালে প্রযোজক নাসির হোসেনের করা রিটের কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পর পর তিনবার কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না— এফবিসিসিআইর অধীন সংগঠনের এমন নির্বাচনী রীতির খেলাপ করা হয়েছে মর্মে নাসির হোসেন বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। তার রিটের প্রেক্ষিতে আদালত তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেছিলেন।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ