বিজ্ঞাপন

বগুড়া-৬ উপনির্বাচন: বড় ব্যবধানে এগিয়ে বিএনপি

June 24, 2019 | 8:10 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বগুড়া: বিএনপির আসন হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীই বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। আসনের ১৪১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩০টি কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়ে প্রায় ৫১ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী।

বিজ্ঞাপন

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আসনের ১৪১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩০টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। তাতে দেখা যায়, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৫৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টি জামান নিকেতা পেয়েছেন ৩০ হাজার ২২৮ ভোট। বাকিদের মধ্যে জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম ওমর লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩শ ভোট।

আরও পড়ুন- বগুড়া-৬ আসনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হয় এই উপনির্বাচনে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আসনের সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত প্রার্থী। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তিন প্রার্থী ছাড়া বাকিরা হলেন— বাংলাদেশ মুসলিম লীগের রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনসুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মিনহাজ মণ্ডল ও সৈয়দ কবীর আহম্মেদ মিঠু।

বগুড়ায় পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা’র (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল জানান, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সুষ্ঠু পরিবেশে ভালোভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। ভোটার ও প্রার্থীরা সহযোগিতা করেছেন বলে ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি ছিল। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৪১টি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। টহলে ছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ১৫ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করেন।

বিজ্ঞাপন

এই আসনের উপনির্বাচনে ১৪১টি ভোটকেন্দ্রের ৯৬৫টি বুথে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। বগুড়ার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ডকে নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনি এলাকায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯০ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৬৪৮ জন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও মির্জা ফখরুল শেষ পর্যন্ত শপথ নেননি। তার শপথ নেওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন। পরে ২৪ জুন উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন