বিজ্ঞাপন

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২৫ জুলাই

June 25, 2019 | 4:48 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আগামী ২৫ জুলাই নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার (২৫ জুন) আলোচিত এ মামলায় একজন ভিকটিমকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

বিজ্ঞাপন

জেরা শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক খাদেম উল কায়েস পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন করে এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে ধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে জেরা করা হয়েছিল। ওইদিন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতের জামিন বাতিল করেন আদালত।

একই সঙ্গে সাফাত আহমেদের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর সফাতের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন একই ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

এদিন আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অপরদিকে সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন জামিনে থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরা প্রদান করেন। আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন জামিনে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর সাফাত আহমেদের জামিন মঞ্জুর করে একই বিচারক। এর আগে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের সহযোগী আসামি সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং বন্ধু সাদমান সাকিব হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।

২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ১৩ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ওই বছরে ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়। ওই দুই ছাত্রী সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী তাদের বনানীর ২৭ নম্বর রোডে রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন