বিজ্ঞাপন

নুসরাত হত্যা: ১৬ আসামির উপস্থিতিতে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ

June 27, 2019 | 9:56 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আদালতে নুসরাতের বড় ভাই মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান সাক্ষ্য দেন। এ সময় মাদরাসা অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ মামলার ১৬ আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।

এদিন সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মূলত মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো। আগামী রোববার (৩০ জুন) থেকে পুনরায় অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করার আদেশ দেন আদালত।

আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে সকাল থেকে ফেনীর আদালতে প্রবেশে নেওয়া হয় কড়াকড়ি। আইনজীবী ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সকাল ১১টার দিকে ফেনী কারাগার থেকে নুসরাত হত্যার ১৬ আসামিকে সরাসরি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আসামিদের কাঠগড়ায় তোলার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ কার্যতালিকা অনুসারে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

আদালত প্রথমে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টার জবানবন্দিতে নোমান নুসরাতের ওপর যৌন নির্যাতন, যৌন নির্যাতন মামলা ও পরবর্তী সময়ে নুসরাতকে হত্যার ঘটনা তুলে ধরেন।

নোমান আদালতে বলেন, ২৭ মার্চ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা তার বোন নুসরাতকে যৌন নির্যাতন করার পর তার মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সোনাগাজী থানা পুলিশ সিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। সিরাজ গ্রেফতার হলে তার পক্ষে আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। এরপর ৬ এপ্রিল নুসরাতকে পরীক্ষার হল থেকে ছাদে ডেকে নিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে তার মৃত্যু ঘটে।

নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালতের কাঠগড়ায় আসামি সিরাজ, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামিম, মাকসুদ আলম কাউন্সিলর, সাইফুর রহমান, মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপি, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, রুহুল আমিন ও মহিউদ্দিন শাকিল উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বাদী নোমানের সাক্ষ্য দেওয়া শেষ হলে আদালত আসামিদের পক্ষে তাকে জেরা করার সুযোগ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৯ আসামির পক্ষে বাদীকে জেরা করা হয়। বাকি সাত আসামির পক্ষে আগামী রোববার পুনরায় জেরা করা হবে।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর জের ধরে গত ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএইচ

আরও পড়ুন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন