বিজ্ঞাপন

বাজেটের প্রভাবে দাম বেড়েছে অধিকাংশ ভোগ্য পণ্যের

June 28, 2019 | 5:08 pm

ঢাকা: জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন হওয়ার পর থেকেই অধিকাংশ ভোগ্য পণ্যের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো আগে থেকেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

কারওয়ানবাজার ঘুরে জানা যায়, পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা যা বাজেটের আগে ছিলো ২৫-২৭ টাকা, আলু কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা যা মাসের শুরুতেও ছিল ১৫ টাকা, চীনা রসুন কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা যা মাসের শুরুতে ছিল ১০০-১০৫ টাকা।

আদা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা যা মাসের শুরুতে ছিল ১০৫ টাকা, চিনি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা যা মাসের প্রথম সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। দেশি মসুরের ডাল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা যা মাসের শুরুতে ছিলো ১০০ টাকা। এলাচ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ টাকা যা মাসের শুরুতে ছিলো ২৪০০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া মুগডাল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা যা মাসের শুরুতেও ছিল ৯৫-১০০ টাকা, ডিম ১ ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা যা মাসের শুরুতেও ছিল ৯৫ টাকা, ডিপ্লোমা ১ কেজি ওজনের গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে ৬১০ টাকায়। যা বাজেটের আগের দিনও বিক্রি হয়েছে ৫৯০ টাকা। ৫শ গ্রাম ওজনের ডিপ্লোমা গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা। যা মাসের প্রথম সপ্তাহেও ছিল ২৯৫ টাকা। মার্কস গুঁড়ো দুধ ৫শ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ২৬৫ টাকা যা বাজেটের আগে ছিল ২৫০ টাকা। কোয়ালিটির এক কেজি গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায় যা বাজেটের আগের দিনও ছিল ৫৯০ টাকা।

গুঁড়ো দুধের দাম বাড়ার বিষয়ে বসুন্ধরা মেহেদী মাটের্র সেলস ম্যানেজার হুমায়ুন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গুঁড়ো দুধের দাম বাজেটের পরদিনই বেড়েছে। আমরা মূলত কোম্পানি যে রেট দেয় সেই রেটেই দুধ বিক্রি করে থাকে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। কোম্পানিগুলো যেমন রেট দেবে আমরা তেমন দামেই বিক্রি করব। তবে গুঁড়ো দুধের দাম আরও বাড়বে। এছাড়া চিনির দামও আরও বাড়বে। আর তেলের দামও বাড়বে।’

ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদী মাটের্র বাজার করতে আসা ক্রেতা জান্নাতুল তমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছোট্ট বেবি আছে। গুঁড়ো দুধ তাই আমার সবসময় প্রয়োজন। কিন্তু বাজেটের পরদিন থেকেই কোম্পানিগুলো গুঁড়ো দুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছি। ফলে বাধ্য হয়েই আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

ওই ক্রেতা বলেন, ‘বাজেটের সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু, মসুরের ডাল, ডিমের দামও বেড়েছে। কিন্তু বাজেট পাশের আগেই পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে যা সরকার বাজার তদারকি করছে না। সরকারের উচিৎ বাজার মনিটরিং করা। নয়ত আমাদের মতো মধ্যবিত্তের বেঁচে থাকা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।’ তবে বাজেটের পর থেকে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার।

পেঁয়াজ, আলু, রসুন ও আদার দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও আলু অনেকটা আমদানি নির্ভর। মোকামে যেমন কেনা যায় বাজারে তেমনিভাবে বিক্রি করা যায়। এখানে ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই। পাইকারি বাজারে পণ্য যেমন আসবে দামও তেমন আসবে। বাজেটের পর থেকে মোকামে পণ্য কম তাই দাম বেশি। আবার মোকামে পণ্য বেশি হলে দামও কমে যাবে। সুতরাং এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

সারাবাংলা/এসজে/একে

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন