আসলেন না ডিআইজি মিজান, ৮ জুলাই ফের তলব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পুলিশের আলোচিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দুদকে হাজির হননি তিনি। তবে, আগামী ৮ জুলাই আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করা হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) দুদকের নির্ভরশীল সূত্র সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে হাজির হননি ডিআইজি মিজানুর রহমান। হাজির হওয়ার আগেই রোববার (৩০ জুন) দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়ে সময়ের আবেদন করেন মিজান।

আর সেই চিঠিতে ডিআইজি মিজান বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমার আরো কিছুদিন সময়ের প্রয়োজন। পরবর্তী যে কোনো সময় বক্তব্য দিতে আপত্তি থাকবে না। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৮ জুলাই তাকে আবারও তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে, ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে (১ জুলাই) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে এক তলবি নোটিশে তাদেরকে ১ জুলাই সোমবার দুদকের প্রধান কাযার্লয়ে হাজির হতে বলা হয়। দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লা, সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানুর রহমানের অভিযোগটির তদন্ত করছিলেন দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির। এরই মধ্যে এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজান ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন। এ অবস্থায় এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিশন। যদিও পরিচালক এনামুল বাছির দাবি করেন তিনি ঘুষ নেননি।

২০১৮ সালের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। প্রথমে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী; পরে এই দায়িত্ব পান এনামুল। পরে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদ।

এদিকে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগ স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নেসহ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ২৪ জুন মামলা করেছে দুদক।

সারাবাংলা/এসজে/জেএএম