বিজ্ঞাপন

‘গরীব বলে কেউই খোঁজ নেয় না’

July 1, 2019 | 5:23 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহত সহকারী শেফ জাকিরুল ইসলাম শাওনের মা মাসুদা বেগম অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমি গরীব বলে কেউই খোঁজ নেয় না। কেউ সহযোগিতাও করেনি। একমাত্র বেকারির মালিক মাসে পাঁচ হাজার করে টাকা দেয়।’

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে হলি আর্টিজানের স্মরণবেদির সামনে এসে কাঁদতে কাঁদতে এসব অভিযোগ করেন শাওনের মা। এসময় সঙ্গে ছিলো তার আরেক ছেলে।

জানতে চাইলে শাওনের মা বলেন, ‘আমার ছেলে শাওন নিরাপরাধ ছিল। তারপরও তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে, তাকে মেরে ফেলেছে। তাকে জঙ্গি সন্দেহে ধরে নিয়ে গেলেও দুই বছরেও পুলিশই তার কোনো প্রমাণ পায়নি। তাকে নির্দোষ বলা হয়েছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার আমি চাইবো। কিন্তু কার কাছে বিচার চাইবো, কে বিচার করবে? আমার ছেলে কি ন্যায়বিচার পাবে না?’

শাওনের মা আরও বলেন, ‘আমার ছেলের আয় দিয়ে সংসার চলতো। ছেলে নেই, আমাকে দেখারও কেউ নেই। কেউ সহায়তা দেয়নি, খোঁজও নেয়নি। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন ছেলেকে হত্যার বিচার চাইবো।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার দিন তিন বাংলাদেশি, ১ জন ভারতীয়, ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি নাগরিক নিহত হন। আর্টিজানের বাইরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও ততকালীন বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন। একই দিন নিহত হন বেকারীর পিজ্জা শেফ সাইফুল ইসলাম। হামলার দিন সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়।

হলি আর্টিজান হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কাজ করা হচ্ছে: মনিরুল

ঘটনার দিনই জঙ্গি সন্দেহে সহকারী শেফ শাওনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৩ জুলাই শাওনকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ৮ জুলাই মৃত্যু হয় তার। শাওন ও সাইফুলকেও পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন