বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারের সঙ্গে সম্মতিপত্র নিয়ে বিএনপির সংশয়

November 24, 2017 | 2:16 pm

সারাবাংলা রিপোর্ট

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সরকারের যে চুক্তি হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করায় হতাশা ও সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্বরতা বন্ধ না করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলে তাদের নরকে ঠেলে দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

গতকাল শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, আমরা খুব হতাশ হয়েছি। ওই চুক্তির মূল বিষয়গুলো আমরা জানি না, জনসম্মুখে আনা হয়নি। এই চুক্তির ফলে কতটুকু আস্থা সৃষ্টি হবে যে তারা (রোহিঙ্গা)  সেই  জায়গায় ফিরে যাবেন? সে জায়গায় তাদের নিরাপত্তা থাকবে কিনা, আবার তারা সেই গণহত্যার শিকার হবে কি না- এ বিষয়গুলো এখন পর্যন্ত আমরা কিছুই জানি না।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতন করছে, অত্যাচার করছে। প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে বহু লোক বাংলাদেশ আসছে। এই অত্যাচার-নির্যাতন-গণহত্যা বন্ধ না করে আবার  সেখানে তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আরেকটি নরকের মধ্যে তাদের ঠেলে দেওয়ার মত হবে। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে করা ওই সমঝোতায় কী কী আছে- তা প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন-আমরা আশা করব, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের সত্যিকার অর্থে নাগরিকের মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অন্যথায় এটা একেবারেই ব্যর্থ একটি চুক্তি হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। মিয়ানমারের গণহত্যার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার  সেভাবে তুলে ধরতে পারে নি বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ভাই আহমেদ কামালের জানাজায় শরিক হন মির্জা ফখরুল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন-বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান।

এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন- সরকার নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে জনগণও পাল্টা নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে। শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, পাওয়ার প্লান্টগুলো আপনার আত্মীয়’র বলে শোনা যায়। সে কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার পরও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে স্বজনদের পকেট ভরার ব্যবস্থা করলেন। এভাবে অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার যদি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, তাহলে জনগণও পাল্টা নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবে। তবে আমরা সেটা চাই না।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন