বিজ্ঞাপন

কিশোরী ধর্ষণ: পাহাড় থেকে প্রধান আসামির গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার

July 7, 2019 | 10:31 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার একটি পাহাড় থেকে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি সম্প্রতি কোরিয়ান ইপিজেডের কিশোরী কারখানা কর্মীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৭ জুলাই) সকালে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নে চায়না ইকোনমিক জোন সংলগ্ন হাজীগাঁও পাহাড় থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুন নুরের (২৫) বাড়িও আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আব্দুন নুর ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। তাদের একটি বাহিনীও আছে। সেই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সম্ভবত অর্ন্তকোন্দল অথবা ডাকাতির মালামালের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এতে আব্দুন নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। সকালে পাহাড়ে কৃষিকাজ করতে যাবার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে খবর দিলে আমরা গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করি।’

ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়ে ওসি বলেন, ‘মৃতদেহটি উদ্ধারের পর সেটি সাম্প্রতিক ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আব্দুন নুরের বলে আমরা শনাক্ত করেছি।’

বিজ্ঞাপন

ওসি জানান, আব্দুন নুরের বিরুদ্ধে ডাকাতি-ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা আছে। গত জানুয়ারি মাসে এবং পরে রমজানে দু’টি ছিনতায়ের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৮ সালে ডাকাতির অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মামলার আসামিও তিনি।

একা মেয়ে পেলেই ধর্ষণ, ওঁৎ পেতেছিল ৪ জনের দলটি

ধর্ষণের শিকার আনুমানিক ১৫ বছর বয়সী কিশোরী কোরিয়ান ইপিজেডের একটি জুতার কারখানায় কাজ করে। চন্দনাইশ উপজেলার বাড়ি থেকে প্রতিদিন সে কারখানায় আসা-যাওয়া করত।

বিজ্ঞাপন

গত বুধবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি যাবার পথে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। মেয়েটিকে আনোয়ারা থানার চৌমুহনীর অদূরে কালার মার দিঘী এলাকায় অন্ধকারের মধ্যে রাস্তার ওপর মুমূর্ষু অবস্থায় পান স্থানীয়রা। তার কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। ভাইসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। কিশোরী পরিবারের সদস্যদের জানায়, চোখ বেঁধে চারজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে।

এ ঘটনায় কিশোরী ভাই বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাতে আনোয়ারা থানায় অজ্ঞাতনামা চার জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার দুই আসামি কিশোরীকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মামুন (২০) এবং যাত্রী হেলাল উদ্দিনকে (৩০) শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে গ্রেফতার করা হয়। তারা আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন