বিজ্ঞাপন

ভিপি নুরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ৭ আগস্ট

July 7, 2019 | 4:36 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ডাকসু নির্বাচনে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ভিপি নুরুল হক নুরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৭ জুন) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ কারণে ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে তারিখ নির্ধারণ করেন।

গত ১১ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা মারজুকা রায়না বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এছাড়া মামলাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের ৩০ থেকে ৪০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ডাকুস নির্বাচনে ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জিএস প্রার্থী উম্মে হাবীবা বেনজীর, রোকেয়া হল সংসদের ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মৌসুমী, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়ী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আখতার হোসেন, বাম জোটের ভিপি প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী শ্রবণা শফিক দীপ্তি।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১১ মার্চ সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করার চেষ্টা চালান অভিযুক্তরা। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে দেন যে, ট্রাংক ভর্তি সিল মারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে উসকে দেন। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালান। পরে তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাংক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়, সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতে সিল মারা নেই। এরপর তারা রোকেয়া হল সংসদের ভিতর ট্রাংক ভর্তি সিলমারা ব্যালট পেপার রয়েছে বলে আরও কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে বলে ভোটগ্রহণ হবে না, আপনারা চলে যান। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোট না দিয়ে চলে যায়।

সারাবাংলা/এআই/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন