বিজ্ঞাপন

‘উদ্যোক্তা তৈরিতে পুঁজিবাজারে সাধারণ মানুষকে অংশীদার করতে হবে’

July 8, 2019 | 2:06 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ও বিনিয়োগে অংশীদার করা সম্ভব বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিল্পায়নের মাধ্যমে অধিক হারে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি সম্ভব। এজন্য দেশি বিদেশি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি, যতবেশি মানুষ পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত হবে, আমাদের শিল্পায়ন ততবেশি ত্বরান্বিত হবে ‘

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশন ফাইন্যান্সিয়াল রেগুলেটর ট্রেনিং ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ( বিএসইসি), এবং এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র উদ্যোগে অনষ্ঠিত এ সেমিনার বিশেষ অতিথি ছিলেনি এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি অর্থের যোগান দিতে সরকার একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত ডিভিডেন্ড আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। নতুন ফিক্সড ইনকাম ফিন্যানসিয়াল প্রোডাক্টসহ বিভিন্ন ধরনের বন্ড প্রচলন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শর্ট সেল এবং রিস্ক বেইসক্যাপিটাল সংক্রান্ত দুইটি বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে ধারাবাহিক পলিসি সাপোর্ট, আইনগত সংস্কার, অবকাঠামো নির্মাণসহ নানাবিধ সহযোগীতা দিয়ে আসছে। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম দূর করে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে। যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণীত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বিদেশি কৌশলগত বিনিয়োগকারী অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও ইমপ্যাক্ট ফান্ড গঠনের জন্য দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফরম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ফলে ছোট ও মাঝারি আকারের কোম্পানি পুঁজি তুলতে পারবে এবং স্টার্ট আপ কোম্পানি তালিকাভুক্তির সুযোগ পাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার এখনো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর উপর নির্ভরশীল। শক্তিশালি পুঁজিবাজার গঠনের জন্য প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ঝুঁকি হ্রাস করতে দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এডিবি‘র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৩শ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আমি আশা করবো ২০৩০ সালে জিডিপির আকার এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। তখন বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা ২০টি অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে একটি হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এশিয়া অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশের গড় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ থেকে ৫ দশমিক ৭ এর মধ্যে রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আমি এজন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই।

সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠন করতে আমরা সবাত্মক চেষ্টা করছি। গত কয়েক বছরে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে পুঁজিবাজার দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা অনেক বেশি নিরাপদ।

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন