বিজ্ঞাপন

দেশের ৩ অঞ্চলের ৬২৮ পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ: প্রতিমন্ত্রী

July 12, 2019 | 3:22 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বর্ষার শেষ ভাগে এসে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত। প্রবল বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলের ৬২৮টি পয়েন্টকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি পয়েন্ট অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৫২১টি পয়েন্টকে ঝুঁকিমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে বন্যা মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি নিতে আন্ত:মন্ত্রণালয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমম্বয় কমিটির সভায় এসব তথ্য জানান দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো নজিবুর রহমান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১০ টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছয়টি নদী এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ী ঢলের কারণে বন্যা কবলিত জেলাগুলোর দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অতিবৃষ্টির কারণে দেশের ৬৪টি জেলায় বন্যা মোকাবেলায় ১৭ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ও দুই কোটি ৯৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

এছাড়া বন্যা-উপদ্রুত জেলাগুলোতে প্রথমে ২০০ মেট্রিক টন এবং পরে ৩০০ মেট্রিক টন খাবার পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, প্রত্যেক জেলায় দুই হাজার প্যাকেট উন্নতমানের শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় মেডিকেল টিম কাজ করছে।

এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জেলা প্রশাসকরা মাঠ পর্যায়ে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি তদারকি করছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, অবিরাম বর্ষণ ও  পাহাড়ি ঢলের কারণে গাইবান্ধার প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়ছে।

গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৮ সেন্টিমিটার, তিস্তা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার এবং করতোয়া নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গনও শুরু হয়েছে।

এভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ১৬ জুলাই এর পর থেকে মাঝারি ধরনের বন্যা হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এছাড়া, টানা ৭দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চলের প্রায় দশ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

টানা বৃষ্টির কারণে বান্দরবন-কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়ার বড়দুয়ারা এলাকার রাস্তাটিও তলিয়ে গেছে। অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নদীর পানি প্রবেশ করে শহরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর, অফিসার্স ক্লাব, বনানী সমিল এলাকা, শেরেবাংলা নগর, সাঙ্গু নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ কয়েকটি এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন