বিজ্ঞাপন

অপহরণের পর তরুণীকে ধর্ষণ, বিচার চেয়ে সড়ক অবরোধ

July 14, 2019 | 2:00 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সিলেট: সিলেটের গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর চকপাড়ায় এক তরুণীকে (২০) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত যুবক লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের মুছব্বির আলীর পুত্র আলাল হোসেন (২৫)। সে সিএনজি অটোরিকশা চালক বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার পর গত শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে আলাল হোসেনকে প্রধান করে অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৮/১২-০৭-১৯ইং)।

এদিকে, এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের গড়িমসির অভিযোগ এনে ও অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার না হওয়ায় শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘন্টা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তপন কুমারকে ক্লোজড ও অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।

স্থানীয় লোকজন ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার পর্যন্ত ভিকটিমকে খুঁজে না পাওয়ায় তার পরিবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত যুবক আলাল হোসেনসহ আরো কয়েকজন যুবক এই তরুণীকে ধর্ষণ করে পরদিন শুক্রবার (১২জুলাই) রাত ৭টার দিকে উপজেলার কোনাচর নামক একটি বাজারে ফেলে রেখে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তরুণীকে উদ্ধারের পর তার পরিবারের লোকজন গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসে।

ধর্ষিতার এক আত্মীয় সারাবাংলাকে জানান, পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে মামালা নিলেও অভিযুক্ত আলাল হোসেনকে এখনো গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। তরুণীটি ধর্ষণে জড়িত আলাল হোসেনকে চিনতে পারলেও অন্যদের চিনতে পারেন নি বলেও জানান তিনি।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলা নিতে গড়িমসি বা অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তারে পুলিশের অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করে সারাবাংলাকে বলেন, তরুণীকে থানায় নিয়ে আসলে আমরা শুক্রবার রাতেই তাৎক্ষণিক মামলা রেকর্ড করি। অভিযুক্ত যুবক আলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে সাময়িক ক্লোজড হওয়া এসআই তপন কুমার সারাবাংলাকে জানান, প্রথমে ভিকটিমের পরিবার তরুণী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। পরদিন শুক্রবারেও বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালায়। তিনি দাবি করেন, পুলিশের অভিযানের কারণেই অভিযুক্ত তরুণ তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকে কোন অবহেলা ছিল না বলেও তিনি দাবি করেন।

 

সারাবাংলা/আরএফ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন