বিজ্ঞাপন

এরশাদ কি সত্যিই স্বৈরাচার ছিল? প্রশ্ন বিদিশার

July 14, 2019 | 1:17 pm

আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঘটনাবহুল রাজনৈতিক অধ্যায়ের শেষে ৮৯ বছরে চলে গেলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জীবদ্দশায় তিনি ছিলেন সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রপতি, কবি এবং কখনো কখনো প্রেমিক পুরুষ কিংবা ‘স্বৈরাচার’ শাসক! তবে এরশাদকে ভিন্ন চোখে দেখতে চান তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যখন এরশাদ চিকিৎসাধীন, সে সময় বিদিশার সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। সাক্ষাৎকারে বিদিশা জানান, এরশাদকে তার এখনো মনে পড়ে। তিনি স্বৈরাচার ছিলেন বলে মনে করেন না বিদিশা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: এরশাদ এপিসোড: ১৯৩০-২০১৯

বিদিশা বলেন, এরশাদ, এরশাদই! আর বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুই। বঙ্গবন্ধু আর কোনোদিন পৃথিবীতে আসবেন না। আর ইচ্ছা করলেও কেউ এরশাদ হতে পারবেন না।

এরশাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রশংসা করে বিদিশা আরও বলেন, এরশাদের চিন্তা-ভাবনা ছিল খুব সুদূরপ্রসারী। এরশাদ দূরদর্শিতার সঙ্গে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারত।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: আজমীর শরীফে বিদিশা, ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া

তবে রাজনীতির মাঠে এরশাদকে স্বৈরাচার বলাটা মোটেই মেনে নিতে পারেন না বিদিশা। তিনি বলেন, এরশাদকে স্বৈরাচার বলেন যারা, তাদের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই এরশাদ কি আসলেই স্বৈরাচার ছিল?

এরশাদের আশঙ্কাজনক শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিদিশা বলেন, এরশাদ এখন যে অবস্থায় আছে। সে আর কখনোই ফিরে আসবে না। তার সঙ্গে আমার দেখা হবে না। কথা হবে না। তবে আমি ভাবছি এরিককে নিয়ে। এরিকের কী হবে? এরশাদ এরিককে খাইয়ে দিতেন, গোসল করাতেন। মায়ের স্নেহ দিয়ে রাখতেন।

বিজ্ঞাপন

এরশাদকে খুব মনে পড়ে জানিয়ে বিদিশা বলেন, তাকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার মতো পরিবেশ এখন আর নেই।

আরও পড়ুন: এরশাদ আর নেই

দেড় দশক আগে বিদিশার সঙ্গে এরশাদের বিয়ে হয়। সেই বিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলেছিল। তবে ২০০৫ সালে বিচ্ছেদ হয় এরশাদ-বিদিশার। তখন তাদের সন্তান এরিক কার কাছে থাকবে তা নিয়ে দু’জনের লড়াই গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের রায়ে এরিকের দায়িত্ব এরশাদ পেলেও বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে বাড়িতে তাকে দেখতে যেতেন বিদিশা।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএইচ/এটি

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন