বিজ্ঞাপন

এরশাদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত

July 14, 2019 | 1:52 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে (বাদ জোহর) ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম জানাজা পড়ান।

বিজ্ঞাপন

নামাজে জানাজায় অংশ নেন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ, জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাঁসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন এরিক এরশাদ। তিনি বলেন, আমার বাবা মারা গেছে—এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন বাবাকে বেহেশত দান করে।

আরও পড়ুন: এরশাদ আর নেই

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: এরশাদ এপিসোড: ১৯৩০-২০১৯

এরশাদের ভাই জিএম কাদের জানাজায় বলেন, হাত জোর করে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা সবাই তাকে মাফ করে দেবেন। তার জন্য দোয়া করবেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে জাপার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, এরশাদ মাটি ও মানুষের জন্য নিবেদিত ছিলেন। দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরে তিনি মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। যেখানেই বেদনা, যেখানে মানুষের দুঃখ, কষ্ট সেখানে তিনি ছুটে যেতেন। ’৮৮ সালের বন্যায় কোমর পর্যন্ত পানিতে নেমে তিনি মানুষকে সাহায্য করেছেন। একটি মানুষও সেসময় না খেয়ে মারা যাননি। টর্নেডো হয়েছিল, তিনি সেখানেও চলে গেলেন। তিনি মানুষের প্রকৃত বন্ধু ছিলেন। দরদী মানুষ ছিলেন। মানুষের জন্য নিজেকে নিবেদিত করেছিলেন। তার অনুপস্থিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা অপূরণীয়৷

রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন  হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।  রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লিভারে দীর্ঘদিনের সমস্যার পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৬ জুন সিএমএইচ-এ ভর্তি হন এরশাদ। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: এরশাদের রুহের মাগফিরাতে দোয়া চেয়েছেন রওশন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: এরশাদ কি সত্যিই স্বৈরাচার ছিল? প্রশ্ন বিদিশার

এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ জানান, সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা হবে। এরপর মরদেহ বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় পার্টির কাকরাইল আফিসে নেওয়া হবে। কাকরাইল অফিসে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এরশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাবেন। নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে এরশাদের মরদেহ বায়তুল মোকাররম মসজিদে নেওয়া হবে। বাদ আছর জাতীয় মসজিদে তৃতীয় জানাজা হবে। এরপর মরদেহ রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসাপাতালে (সিএমএইচ) এর হিমঘরে রাখা হবে।

আবহাওয়া প্রতিকূলে না থাকায় ১৬ জুলাই সকাল ১০টায় মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে রংপুরে নেওয়া হবে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে ওইদিন বিকেলে ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে এরশাদকে দাফন করা হবে।

সারাবাংলা/ এনএইচ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন