বিজ্ঞাপন

ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রাস্তায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা

July 14, 2019 | 5:38 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশজুড়ে অব্যাহত ধর্ষণের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একযোগে রাস্তায় এসে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এসময় তারা ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে স্লোগান দেয়।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৪ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় মিছিল-স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। সেখানে তারা প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান করে।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘ধর্ষকমুক্ত বাংলাদেশ চাই’, ‘ধর্ষণের আইন, ফাঁসি চাই’- এই ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। এর আগে শনিবারও শিক্ষার্থীরা নগরীর ওয়াসা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তবে তারা সড়কে গাড়ি চলাচলে কোনো বাধা দেয়নি।

সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবিও তুলে ধরেন। দাবির মধ্যে রয়েছে- সকল ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত শেষ করে অবিলম্বে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া, প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এমনকি এলাকাতেও ইভ টিজিং, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ ঠেকাতে সামাজিক টিম গঠন, যেকোনো বয়সী নারী কোনো ধরনের সমস্যা অনুভব করলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা। এর পাশাপাশি রাস্তাঘাটে ইভ টিজিং বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, নারীদের জন্য আলাদা গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা, এক মাসের মধ্যে ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন করা, উচ্চ আদালতে আলাদা বেঞ্চ স্থাপন করা। এছাড়া আক্রান্ত নারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া, আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে আক্রান্ত নারী অথবা তার পরিবারকে দেওয়া এবং ধর্ষক-হত্যাকারীর আইনি সুযোগ পাবার অধিকার নিয়ন্ত্রণে রাখা।

বিজ্ঞাপন

কর্মসূচিতে উপস্থিত ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরিফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দু’দিন ধরে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করছি। এরপর আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেব। আমাদের আন্দোলন ধাপে ধাপে অব্যাহত থাকবে।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবরে সামনে কর্মসূচিতে মহানগর কমিটি ও বিভিন্ন কলেজের ছাত্রলীগ নেতারা এসে সংহতি জানান।

বিজ্ঞাপন

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী প্রেসক্লাবের সামনে এসেছিলেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন। সড়কে নামেননি। প্রেসক্লাবের সামনে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে নিজেরাই আবার চলে গেছেন।’

কর্মসূচিতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে- ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, ওমরগণি এম ই এস কলেজ, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় (বাওয়া স্কুল) এবং চট্টগ্রাম আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন