বিজ্ঞাপন

গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট

July 15, 2019 | 12:07 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

গাইবান্ধা: ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনার ২৬৫টি চরের অবস্থা প্লাবিত হয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বন্যা কবলিত এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে ।

বিজ্ঞাপন

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১১০ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৬৮ সেন্টিসিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি এসব নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ফলে গাইবান্ধার সাতটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী মুন্সীর ভিটা এলাকায় ও সদর উপজেলার বাগুরিয়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া, সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নে ঘাঘট নদীর বাঁধ ভেঙে হুহু করে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

পাশাপাশি, ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, কাবিলপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী, গলনা, ফুলছড়ি ইউনিয়নের দেলুয়াবাড়ী, ফজলুপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাটিয়ামারী, উজালডাঙ্গা, বাজে তেলকুপি, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের হরিচন্ডি, জিগাবাড়ী, সন্যাসীর চর এবং সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় নদীভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট

প্লাবিত এলাকা ছেড়ে এসব এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন উঁচু বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে। পানি ঢুকে পড়ায় এসব এলাকার ১৪৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। বন্যা কবলিত বাসিন্দাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রানসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ওএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন