July 15, 2019 | 1:04 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট
বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়কখ্যাত অভিনেতা বুলবুল আহমেদ। তিনি তার অসামান্য অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলার আপামর সিনেমাপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। আজ (১৫ জুলাই) এই অভিনেতার নবম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০১০ সালের আজকের এই দিনে প্রয়াত হন তিনি।
বুলবুল আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে পারিবারিকভাবে দোয়া মাহফিল, কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ‘বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশন’ দিনব্যাপী তাকে স্মরণ করবে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে।
মূলত ‘বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশন’ মহানায়েকের স্মৃতি সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এই ফাউন্ডেশন প্রবীণ শিল্পীদের সম্মান জানাতে সম্মাননা স্মারক দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার (১৪ জুলাই) দেশের প্রবীণ জনপ্রিয় অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানকে সম্মাননা তুলে দেয়া হয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ টি এম শামসুজ্জামানের হাতে সম্মাননা তুলে দেন বুলবুল আহমেদের স্ত্রী ডেইজি আহমেদ ও কন্যা তাহসিন ফারজানা তিলোত্তমা।
ডেইজি আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছর কোনো না কোনো প্রবীণ শিল্পীকে ‘‘বুলবুল আহমেদ সম্মাননা’’ দেয়া হয়। এবছর প্রখ্যাত অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানকে দেয়া হলো। তিনি সম্মাননা পেয়ে খুশি হয়েছেন। বুলবুল আহমেদকে মানুষের মাঝে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে।’
বুলবুল আহমেদ চলচ্চিত্রের মহানায়ক হলেও তার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল ছোটপর্দায়। ১৯৬৪ সালে আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘বরফ গলা নদী’ নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৭২ সালে আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের অনুপ্রেরণায় চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন বুলবুল আহমেদ। ১৯৭৩ সালে আলমগীর কবির পরিচালিত ‘ইয়ে করে বিয়ে’ ছবিতে নায়ক হিসেবে দর্শকদের সামনে আসেন তিনি।
অভিনয়ের জন্য চারবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন বুলবুল আহমেদ। তার পরিচালিত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষী-শ্রীকান্ত’ অন্যতম।
ধীরে বহে মেঘনা, সূর্য কন্যা, সীমানা পেরিয়ে, রূপালী সৈকতে, মোহনা, দেবদাস ছবিগুলো দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে যেমন বেঁচে থাকবে তেমন বেঁচে থাকবেন বুলবুল আহমেদ, ইতিহাসে, মানুষের মনে।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ