বিজ্ঞাপন

এরশাদের মরদেহ রংপুরে, কর্মী-সমর্থকদের ভিড়

July 16, 2019 | 12:01 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: চতুর্থ জানাজা ও এলাকাবাসীকে একনজর দেখাতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুরে নেওয়া হয়েছে। তার মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি ১১টা ৫০ মিনিটে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অবতরণ করে। পরে ১২টা ১৫ মিনিটে রংপুর ক্যান্টমেন্টে থেকে কালেক্টরেট মাঠে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হয়। এরশাদের জানাজায় অংশ নিতে তার ভক্ত, সমর্থক, নেতাকর্মীরা আসছেন ঈদগাহ মাঠে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই)  বাদ জোহর এরশাদের জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য সকাল ৯টা থেকে রংপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। তারা জানান, রংপুরের পাশের জেলাগুলো থেকে একযোগে বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসে করে রওয়ানা হয়েছেন অনেকে।

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে এরশাদকে দেখতে আসা মানুষ বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে জানাজা মাঠে উপস্থিত হয়েছেন।

মাঠের প্রস্তুতি হিসেবে দেখা যায়, ঈদগাহের ইমামের জায়গার সামনে এরশাদের মরদেহ রাখার জন্য একটি টেবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। টেবিলের পশ্চিম পাশের একটি গলির মতো করা হয়েছে। এই গলির একদিকে প্রবেশ করে মরদেহ একনজর দেখে আরেক দিক দিয়ে বের হয়ে যাবেন সাধারণ মানুষ।

বিজ্ঞাপন

মাঠ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদগাহ মাঠে মোট ৬০ থেকে ৭০ হাজার লোক একসাথে জানাজায় অংশ নিতে পারবে। বাকী লোকের মধ্যে পাশেই ক্রিকেট গার্ডেনে ৮০ হাজার লোক এবং পুলিশ লাইন্স মাঠে আরও ৮০ হাজার লোকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া রংপুর সরকারি কলেজের সামনের ফাঁকা জায়গায় আরও ২০ হাজার লোকসহ আশেপাশের সড়কগুলোতে অন্তত আরও ৫০ হাজার লোক একসাথে জানাজায় অংশ নিতে পারবেন।

জাতীয় পার্টির নেতা আসিফুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, গতকাল রাতভর ঢাকায় বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে মরদেহ দাফনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কোথায় দাফন করা হবে তা নিয়ে আজও বৈঠক চলছে। তিনি বলেন, গতকাল পল্লী নিবাসের লিচু বাগানে যখন কবর খোঁড়া হচ্ছিল তখন মেয়র মোস্তফাকে ফোন করেন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি ফোনে বলেন, কার অর্ডারে কবর খোঁড়া হচ্ছে, তখন মেয়র উত্তরে বলেন, রংপুরের জনগনের সেন্টিমেন্ট তো আপনি বোঝেন। অতএব সেই বিষয়টা ভালো করে ভাবেন।

এদিকে মঙ্গলবারও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, এরশাদকে রংপুরে মাটি না দেওয়ার সিদ্ধান্তকারীদের আজীবনের জন্য বয়কট করা হোক। কোনোভাবেই আজ এরশাদের মরদেহ নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানাজা স্থল ও তার আশেপাশের সব জায়গাতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রশিদুল হক বলেন, যেকোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। পুরো শহরে প্রায় এক হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও পাঁচশ পুলিশ সদস্য।

সারাবাংলা/ইউজে/জেএএম

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন